Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

অবৈধভাবে আ.লীগ নেতার বালু উত্তোলন, প্রতিবাদে মানববন্ধন

| প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

গোপালগঞ্জ সংবাদদাতা : গোপালগঞ্জে ফসলী জমি থেকে আ.লীগ নেতার অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে ৩টি গ্রামের কৃষক মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধন শেষে তারা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। তারা অভিযোগ করেন, জমির বালু ও মাটি উত্তোলনের কাজে বাধা দিতে গেলে কদর বাহিনী তাদের চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানি করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চরবয়রা, চরগোবরা ও গ্রীসনগর গ্রামের শতাধিক কৃষক ও কৃষাণী গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন শেষে তারা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। চরবয়রা গ্রামের মোতালেব মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা আ.লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য ও গোবরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফয়সাল কবির কদর মধুমতি নদীর বালুমহাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ইজারা নিয়েছেন। নকশা অনুযায়ী তিনি বালুমহালের ৭৫ শতাংশ  এলাকা  থেকে বালু উত্তোলন করতে পারবেন। কিন্তু তিনি এলাকার হাচান মোল্লা, খায়ের ফকিরকে সাথে নিয়ে বাহিনী গঠন করে জোরপূর্বক বালুমহালের বাইরে ৩ গ্রামের একাধিক কৃষকের ১শ’ বিঘা ফসলী জমি থেকে বালু উত্তোলন করছেন। এতে ওই গ্রামগুলোর ফসলী জমি, বাড়িঘর নদী ভাঙনের মুখে পড়েছে। কিছু জমি ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বাধা দিতে গেলে গ্রামের কৃষকদের চাঁদাবাজি মামলা দেয়ার হুমকি দিচ্ছে কদর বাহিনী। গ্রীসনগর গ্রামের সুকুমার বিশ্বাস বলেন, বালুমহালের বাইরে অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে আমার আড়াই বিঘা জমি মধুমতি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আমদের ভিটামাটি সব নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আ.লীগ নেতা ফয়সাল কবির কদর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ১৪ লাখ ৩ হাজার ৪শ’ ৩০ টাকা দিয়ে গোপালগঞ্জ ডিসি অফিস থেকে বালুমহাল ইজারা নিয়ে বৈধভাবে বালু উত্তোলন করছি। বালুমহাল এলাকার বাবুল মোল্লা, রইচ সিকদার ও তফাজ্জল সিকদার বালুমহাল থেকে কম দামে বালু নিতে চায়। তাদের দিয়েছিও। কিন্তু অনেক টাকা তাদের কাছে পাওনা রয়েছে। আমি এখন বালু দিতে অস্বীকার করায়, তারা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ সব কর্মসূচি করিয়েছে। বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলনের পাইপ বসানোর সময় আমার শ্রমিকদের মারপিট করা হয়েছে। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের ওইখানে কোন জমি নেই। তাদের জমি নদীতে অনেক অগেই ভেঙে চলে গেছে। গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার বলেন, স্মারকলিপি পাওয়ার পর বালুমহালের ইজারাদারকে তলব করেছি। এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া  হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ