বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কালীগঞ্জ (গাজীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ ভাঙচুর হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সোয়া ৮টায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় হামলাকারীরা কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ও আবাসিক মেডিক্যাল অফিসারসহ তিন চিকিৎসককে মারধর করে। ঘটনার প্রতিবাদে চিকিৎসকরা রাত থেকেই কর্মবিরতি পালন করছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত চিকিৎসকেরা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কলিঙ্গা গ্রামের বাবুল মিয়াকে (৪৫) তার আত্মীয়স্বজন হার্টের সমস্যাজনিত কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে রেফার্ড করেন। রোগীর আত্মীয়স্বজন ইনজেকশন দেয়ার অনুরোধ করলে চিকিৎসক রোগীর সমস্যা হতে পারে বলে জানান। ইতোমধ্যে রাত সোয়া ৮টায় হাসপাতালে রোগীর মৃত্যু হয়।
এ সময় রোগীর আত্মীয় পরিচয়ে উপজেলার তুমলিয়া গ্রামের আক্তার মোল্লা, ফয়সাল, জুলহাস, মামুন, সুমন, সুজনসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জন উত্তেজিত হয়ে কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের একটি কম্পিউটার, টেবিল-চেয়ার, চিকিৎসা সরঞ্জামাদীসহ একটি বিকল অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করে। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মীর মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, ইনডোর চিকিৎসক আশীষ কুমার বণিক ও উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার মো. অবদুুল মোতালিব বাধা দিলে হামলাকারীরা তাদের এলোপাতাড়ি মারধর করে। খবর পেয়ে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার অরূপ কুমার দাস ছুটে এলে তাকেও তারা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।
রোগীর আত্মীয়রা জানান, স্ট্রোক হওয়ার পর বাবুলকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করে কর্তব্যরত ডাক্তারকে চিকিৎসা দেয়ার অনুরোধ করি। কিন্তু ডাক্তার চিকিৎসা না করেই রোগীকে ঢাকায় রেফার্ড করে দেন। এ ঘটনায় ডা. মহিউদ্দিন বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।