Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রয়োজন আরোপিত বিধি নিষেধ ঠিক নয় -মোস্তফা জব্বার

মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ে গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা

| প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বিধি নিষেধ দিয়ে কার্যক্রমকে সংকোচিত না করে মোবাইল ব্যাংকিং বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। গতকাল রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে বিআইআইএসএস অডিটোরিয়ামে ‘মোবাইল ব্যাংকিং, ফিন্যান্স অ্যান্ড সিকিউরিটি ইস্যু’ শীর্ষক এক  গোলটেবিল বৈঠকে তারা এ পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সভাপতি মোস্তফা জব্বার বলেন, রেমিট্যান্স কমে যাওয়ায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের উপর বাংলাদেশ ব্যাংকের আরোপিত বিধি নিষেধ ঠিক নয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে এ বিষয়ে ভেবে দেখতে হবে। এ বিষয়ে আরও চিন্তা করার সুযোগ আছে। সম্প্রতি মোবাইল ব্যাংকিংয়ে হুন্ডি রোধে প্রতিদিনের টাকা উত্তোলনের সীমা ২৫ হাজার থেকে কমিয়ে ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নির্দেশনা আমার কাছে মনে হয়েছে মাথা ব্যথার জন্য মাথা কেটে ফেলার মতো।
টেলিকম সেক্টরের ই-কমার্স ব্যবসায় আসার ক্ষেত্রে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, সবকিছুই যদি টেলকো গ্রুপের হাতে ছেড়ে দেয়া হয় তাহলে অন্যরা কি করবে। টেলকোর স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ করতে না পারলে প্রতিযোগিতা তৈরি করা যাবে না।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংককে খুব দ্রুতই একটি কার্যকরী উদ্যোগ নিতে হবে। যেহেতু আমিও সরকারি পর্যায়ে আছি, এ ব্যাপারে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম ডিপার্টমেন্টের জেনারেল ম্যানেজার লিলা রাশিদ বলেন, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে শুধুমাত্র বিকাশই ৮০ শতাংশ মার্কেট দখল করেছে। তাই এক্ষেত্রে আমরা প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরিতে গাইডলাইন তৈরি করছি।
বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে এফবিসিসিআই’র সভাপতি মাতলুব আহমেদ বলেন, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের গাইড লাইনের প্রয়োজন রয়েছে। আমি ওমানে গিয়ে দেখতে পেলাম একটি ব্যানারে লেখা রয়েছে, ‘এখানে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয়’। প্রকৃতপক্ষে দেশের বাইরে বিকাশের কোনো এজেন্ট নেই। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
রেমিট্যান্সের উপর নগদ প্রণোদনা দেয়া উচিত বলে উল্লেখ করে মাতলুব আহমেদ বলেন, আমি মনে করি ৫ থেকে ৭ শতাংশ পর্যন্ত নগদ প্রণোদনা দেয়া যেতে পারে।
বৈঠকের আয়োজন করে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও জার্মানির একটি সংগঠন ফ্রিডরিচ নিউম্যান স্ট্রিফটাং (এফএনএফ)। বৈঠকে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বেসিসের সাবেক সভাপতি শামীম আহসান। এছাড়া বিকাশের সিইও কামাল কাদির, এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি মাহবুব আলম, এফএনএফের প্রতিনিধিসহ এফবিসিসিআইয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ