Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পাঁচ ডাক্তার দিয়ে চলছে ১০০ শয্যা হাসপাতাল

| প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে : নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার ৪ লাখ মানুষের জন্য একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্রটি ভুগছে চিকিৎসক সংকটে। এতে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত হলেও চিকিৎসক সংকটের কারণে কাক্ষ্মিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শত শত রোগী। সরকার লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে অবকাঠামো নির্মাণ করেছে। নির্মাণ করেছে আধুনিক অপারেশন থিয়েটার এবং ক্রয় করেছে প্রয়োজনীয় সরঞ্জমাদি সমস্যা একটাই ডাক্তার নেই, তাই ব্যবহার না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে। জনসংখ্যা বিবেচনায় ২০১৪ সালে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নিত করা হয় সৈয়দপুর হাসপাতালকে। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, চিকিৎসা সরঞ্জমাদি, ওষুধপত্র দেয়া হয় হাসপাতালের অনুকূলে। হাসপাতাল সূত্র জানায়, নিয়মিত মাত্র পাঁচজন চিকিৎসক দিয়ে চালানো হচ্ছে সৈয়দপুরসহ আশপাশের কয়েকটি উপজেলার লাখো মানুষের চিকিৎসাসেবা। সার্জারি, অ্যানেসথিয়া, শিশু, রোগ ও চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞ না থাকায় প্রতিদিন শত শত লোক চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। এছাড়া সংকট রয়েছে নার্সসহ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীও। হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার সুলতানা নাসেরা তুলি জানান, আমরা চাপের মধ্যে রয়েছি। ভেতরে ১শ জন রোগী থাকার কথা থাকলেও দুইশ’র কাছাকাছি রোগী ভর্তি থাকেন। তাছাড়া বহিঃবিভাগে তো রয়েছে। দিন দিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, রোগীদের পুরোপুরি সেবা দিতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। সৈয়দপুর শহরের কুন্দল এলাকার মমিনুল জানান, আমার বাড়ির পাশে হাসপাতাল কিন্তু চিকিৎসক না থাকায় ফিরে আসতে হচ্ছে। রোগীর চাপ বেশি থাকায় চিকিৎসাসেবা আগের তুলনায় খারাপ হচ্ছে। একই শহরের নতুন বাবুপাড়া মহল্লার সাকির হোসেন বাদল অভিযোগ করে বলেন, অর্থোপেডিক চিকিৎসক না থাকায় সব রোগীকে রংপুর মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। হাড়ভাঙা, মচকা রোগীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। অতি দ্রুত জনবল দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আরিফুল হক সোহেল জানান, হাসপাতালে ৫০ শয্যার জন্য ১২ জন চিকিৎসক প্রয়োজন কিন্তু সেখানে আছেন মাত্র ৫ জন। ১শ শয্যায় উন্নীত হওয়ার পরে আরো অনেক চিসিৎসক প্রয়োজন। নিয়মিত পাঁচজনের পাশাপাশি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসককে প্রেষণে এনে হাসপাতালের কার্যক্রম চালাতে হয়। তারপরও সাধ্যমত আমরা সেবা দিয়ে আসছি রোগীদের। জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর রশিদ জানান, ১শ’ শয্যা হাসপাতালের জন্য ২৯ জন চিকিৎসক থাকার কথা কিন্তু রয়েছেন মাত্র ৫ জন। যা আগের ৫০ শয্যার জন্যই পর্যাপ্ত নয়। তিনি বলেন, অবকাঠামো, চিকিৎসা সরঞ্জামাদি রয়েছে কিন্তু সংকটের কারণে সেটা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তবে বিষয়টি ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। শিগগিরই সংকট কেটে গেলে রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ