Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মূর্তির পক্ষাবলম্বনকারীদের কঠোর সমালোচনা ইসলামী নেতৃবৃন্দের

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে গ্রিক দেবী মূর্তি

| প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান ফটকের ভেতর গ্রিক দেবী মূর্তি স্থাপনের পক্ষে নাস্তিক বাম ও সংখ্যালঘু নেতাদের উলঙ্গ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন ইসলামিক বুদ্ধিজীবী ফ্রন্ট, জাগ্রত তৌহিদী জনতা ও ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। গতকাল প্রদত্ত পৃথক বিবৃতিতে তারা বলেন, নাস্তিক বাম ও সংখ্যালঘুরা এবার মূর্তির পক্ষে অবস্থান নিয়ে স্বরূপে প্রকাশিত হয়েছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া তাদের পুরান দালালীর অভ্যাস। এদের জেনে রাখা দরকার এদেশের তৌহিদী জনতার আন্দোলনের স্রোতে তাদেরকে আবর্জনার মত ভাসিয়ে মূর্তির দেশের পাঠিয়ে দেয়া হবে।
বৃদ্ধিজীবি ফ্রন্ট
ইসলামিক বুদ্ধিজীবী ফ্রন্টের আহ্বায়ক শাহ্ সূফী সৈয়দ ইঞ্জি. আব্দুল হান্নান আল-হাদী এক বিবৃতিতে বলেন, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির পক্ষ থেকে ভাস্কর্য বা মূর্তি রাখার পক্ষে কথা বলা হয়েছে। অমুসলিম দেশে কে কী করল তা আমাদের দেখার বিষয় নয়। বাংলাদেশ মুসলিম দেশ, মুসলমানদের ধর্ম গ্রন্থে মূর্তির বিষয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা ও হুঁশিয়ারি আছে সুতরাং এদেশের সুপ্রিম কোর্টের সামনে মূর্তি থাকতে পারে না। বুদ্ধিজীবি অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, মূর্তির অপসারণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী। অথচ মুক্তিযুদ্ধের সনদে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা ছিল সর্বশক্তিমান আল্লার নামে আমার আদেশ আপনারা শত্রুবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়–ন। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছে সর্বশক্তিমান আল্লাহর নামে। দেবী বা মূর্তির নামে দেশ স্বাধীন হয়নি। তাই মূর্তি স্থাপন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বঙ্গবন্ধু বলেছেন, ইসলামের সাম্য, মানিবক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশে স্বাধীনতার ঘোষণা দিচ্ছি সুতরাং সে অনুযায়ীও মুর্তি স্থাপন স্বাধীনতা ঘোষণার পরিপন্থী। তারপরও বাম নাস্তিক ও সংখ্যা লঘুরা আবারও স্বরূপে প্রকাশিত হয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মূর্তির স্বপক্ষে জিকির তুলতে শুরু করেছে। এদের জেনে রাখা দরকার, এদেশের তৌহিদী মুসলিম জনতা আন্দোলনের স্রোতের মাধমে তাদেরকে আবর্জনার ন্যায় ভাসিয়ে মূর্তির দেশে পাঠিয়ে দেবে।
জাগ্রত তৌহিদী জনতা
জাগ্রত তৌহিদী জনতার আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন বলেন, এটর্নী জেনারেলের বক্তব্যে দাড়ি-পাল্লা, তলোয়ার, চোখ বাধার স্বপক্ষে বলেছেন, কিন্তু তার বক্তব্যে দেবী মূর্তি সম্পর্কে কোন কথা বলেননি, সুতরাং দেবী মূর্তি অপসারণ করতে হবে। দাড়ি পাল্লা, তলোয়ার ও কুরআন শরীফের মুরাল স্থাপন করা যেতে পারে। মূর্তি স্থাপন কোন ভাবেই মেনে নেয়া হবে না। মূর্তির পক্ষাবলম্বনকারীদেরকে গণআন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিহত করা হবে।



 

Show all comments
  • ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ৭:৩৯ এএম says : 0
    ঠিক কথা বলেছেন।
    Total Reply(0) Reply
  • ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ৯:০১ এএম says : 0
    আমরা যেখানে সেখানে মুর্তী দেখতে চাইনা
    Total Reply(0) Reply
  • মুহাম্মদ মুছা ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:১৬ পিএম says : 0
    ৯৫% মুসলিম প্রধান দেশে মুর্তি চাই না।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ