বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : যৌতুকের দাবি পূরণ না করায় স্ত্রীর ওপর নির্যাতনের মামলার পূর্বাপর ঘটনা ও হুমকির বিষয় তুলে ধরে পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগের পর থানায় কর্মরত সেই পুলিশ স্বামীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকৃত এএসআই পদবিধারী ওই পুলিশ কর্মকর্তা চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় কর্মরত ছিল। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার জয়নগর গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে কামরুন্নাহার চট্টগ্রাম মেট্্েরাপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে তার স্বামী এএসআই মামুনুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে চট্টগ্রামের দামপাড়া পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। এদিকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার ক্ষোভে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এএসআই মামুন। গত ৩ ফেব্রুয়ারি সে কুমিল্লায় এসে তার স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির লোকদের হুমকি দেয়।
কনস্টেবল থেকে এএসআই। আর এএসআই পদে পদোন্নতির জন্য কৌশলে যৌতুক হিসেবে স্ত্রীর ওপর চাপ প্রয়োগ করে শ্বশুরের কাছ থেকে সাত লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় মামুন। এএসআই হিসেবে পদোন্নতি পায় মামুন। ঘটনাটি ২০১৩ সালে। এখানেই শেষ নয়, ওই ঘটনার তিন বছরের মাথায় আবারো পদোন্নতি পাবার পোকা ওঠে মাথায়। এবার এসআই পদে পদোন্নতির জন্য স্ত্রী কামরুন্নাহারের কাছে দশ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। গত বছরের এপ্রিল মাসে দ্বিতীয় দফায় দাবিকৃত যৌতুকের দশ লাখ টাকা না দেয়ায় কামরুন্নাহারের ওপর নেমে আসে পুলিশ স্বামী ও তার মা-বোনের অমানুষিক নির্যাতন। তারপর নির্যাতনের চিহ্ন শরীরে নিয়ে আহত অবস্থায় ছেড়ে আসতে বাধ্য হয় স্বামীর ঘর।
কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তার স্বামী মামুনুর রশীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন কামরুন্নাহার। এ মামলায় এএসআই মামুনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি ওয়ারেন্টও জারি হয়েছিল। যদিও সে কৌশল অবলম্বন করে আপোষের শর্তে আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিয়েছিল। পরবর্তীতে আদালত তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে। স্ত্রীর দায়ের করা মামলার ঘটনা, সাক্ষ্য প্রমাণ সবকিছুতেই যখন সত্যতা বেরিয়ে আসছে তখন মামলা তুলে নেয়ার হুমকির মুখে পড়ে কামরুন্নাহার। এব্যাপারে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেন কামরুন্নাহার। গত জানুয়ারির ২ তারিখ মামলার পূর্বাপর ঘটনা ও হুমকির বিষয়টি তুলে ধরে চট্টগ্রাম মেট্্েরাপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে এএসআই মামুনুর রশীদের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী কমারুন্নাহার লিখিত অভিযোগ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।