Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দলীয় প্রতীকের আশায় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে

হোসেনপুর উপজেলা উপ-নির্বাচন

| প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : হোসেনপুর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন আগামী ৬ মার্চ সোমবার। নির্বাচনকে সামনে রেখে হাটে বাজারে নানা আলোচনা সমালোচনায় সরগরম। বিগত ২০১৫ সালে নভেম্বরে হোসেনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান আয়ুব আলীর মৃত্যুতে এ আসনটি খালি হয়। চেয়ারম্যানের হঠাৎ মৃত্যুতে ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা সারোয়ার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন জমাদানের শেষ তারিখ, রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি। হোসেনপুর উপজেলা উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরই আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ অনেকেই এ পদের জন্য দলীয় মনোনয়নের জন্য উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় প্রতীকের জন্য জোর লবিং করছে। আওয়ামী লীগও বিএনপির মত জাতীয় পার্টির তৎপরতা তেমন চোখে পড়ছে না। নির্বাচন জমে উঠার আভাসে ইতিমধ্যে সরগরম হয়ে উঠতে শুরু করেছে এলাকার রাজনৈতিক কর্মী ও সাধারন মানুষ। বিএনপি-আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টি যদি মাঠে থাকে তবে ত্রিমুখী লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দলীয় মনোনয়ন লাভের পাশাপাশি বড় দলের প্রার্থীরা আগে থেকেই বিভিন্ন কায়দায় দলীয় ও তাদের ভক্ত সমর্থকদের সাথে যোগাযোগ করছেন। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জাতীয় পার্টির নেতারা ঘরোয়া ও প্রকাশ্য অপ্রকাশ্যে দলীয় একক প্রার্থী দেয়ার জন্য দফায় দফায় মিটিং করে করছে। তবে এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগে এর তৎপরতা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি উপজেলা আওয়ামী লীগের এক বর্ধিত সভায় প্রার্থী বাছাই কার্যক্রমে ৮ জন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করায় তাদের নাম জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, দলীয় মনোনয়ন না পেলে স্বতন্ত্র হিসেবে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকতে পারে। এ নির্বাচন আওয়া লীগ ও বিএনপি নিজেদের অস্তিত্বের লড়াই হিসেবে দেখছে। হোসেনপুর উপজেলার বিশাল কর্মী বাহিনী ও নৌকার ভোট ব্যাংক থাকার পরও উপজেলা পদ্ধতি চালু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ১ বার আওয়ামী লীগ, ১বার বিএনপি, ১বার জাতীয় পার্টি, ১বার স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদে জিতেছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি একক প্রার্থী দেয়ার চেষ্টা করছে। অপরদিকে উপজেলার বিশিষ্ট ও সচেতন নাগরিকরা  জানান, তারা এ পদে একজন সজ্জন মানুষের নির্বাচিত হওয়ার আশা করছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ