Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুলিবিদ্ধ যুবকের লাশ উদ্ধার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:৫০ পিএম | আপডেট : ২:২৫ পিএম, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আল আমিন (২৮) নামে এক যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, আল আমিনকে সাদা পোশাকের পুলিশ বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি পৌরশহরের কান্দিপাড়া মহল্লার মৃত জিল্লু মিয়ার ছেলে।

মঙ্গলবার ভোর রাতে পৌরশহরের মেড্ডা সরকারি শিশু পরিবার সংলগ্ন একটি খোলা জায়গা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে সদর মডেল থানা পুলিশ।

নিহতের স্ত্রী তানজিনা বেগম জানান, সোমবার বিকেল চারটার দিকে তার স্বামী আল আমিনকে আশরাফ নামে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাদা পোশাকে তার দুজন সোর্স নিয়ে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। এসময় তারা আল আমিনকে মারধরও করে। এরপর আমরা সদর থানায় গেলে পুলিশ আল আমিনকে ধরেনি বলে জানায়। র‌্যাবের কাছেও খবর নিলে তারাও আল আমিনকে ধরেনি বলে জানায়। পরে মঙ্গলবার সকালে খবর পেয়েছি পুলিশ আল আমিনের মরদেহ সদর হাসপাতালে নিয়ে এসেছে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, পুলিশ তার স্বামী আল আমিনকে গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি জড়িত ওই পুলিশ সদস্য ও তার সোর্সদের বিচার দাবি করেন। তবে গুলিবিদ্ধ আল আমিনকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা সদর মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নারায়ণ চন্দ্র দাস বলেন, সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মেড্ডা সরকারি শিশু পরিবারের সামনে গোলাগুলির খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আল আমিনকে পড়ে থাকতে দেখি। পরে তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় পাইপগান, দুই রাউন্ড কার্তুজ ও পাঁচটি ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন বলেন, পুলিশ আল আমিনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ সত্য নয়। আমরা মেড্ডা সরকারি শিশু পরিবারের সামনে গোলাগুলির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আল আমিনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ