Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইবির একটি বিভাগের নাম থেকে মুসলিম শব্দ বাদ দেয়া অনৈসলামিকরণ প্রক্রিয়ার অংশ ইসলামী ঐক্যজোট চেয়ারম্যান

| প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী ঐক্যজোট চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের নাম থেকে ’মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করে বলেছেন যে, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং এই সিদ্ধান্ত একটি মহলের অনৈসলামিকরন প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতারই অংশ বিশেষ। একদিন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম থেকে ইসলাম শব্দটি বাদ দিলেও বিস্ময়র কিছু থাকবেনা। যেমনিভাবে ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজ-এর নাম পরিবর্তন করে প্রথমে কবি নজরুল ইসলাম কলেজ এবং পরে ইসলাম শব্দটিও বাদ দিয়ে বর্তমানে শুধু কবি নজরুল কলেজ নামকরণ করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমউল্লাহ মুসলিম হল ও  ফজলুল হক মুসলিম হল থেকে শুধু মুসলিম শব্দ বাদ দেয়া হয়নি, বরং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম থেকে ’রাব্বি-জিদনি-ইলমা’ শব্দসমুহ বাদ  দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতার অনুশীলন করার  কসরৎ করা হয়েছে।  গতকাল বাদ আসর পুরানা পল্টনস্থ  মাওলানা আতহার আলী (রহ.) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত নেজামে ইসলাম পার্টির সাপ্তাহিক বিষয়ভিত্তিক সভায় সভাপতির বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন মাওলানা আবদুল্লাহ আল-মাসুদ, মাওলানা মাহমুদ হাছান প্রমুখ।
মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী বলেন গণদাবির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে চলতি শিক্ষাবর্ষের  জন্যে মুদ্রিত পাঠ্যপুস্তকে মুসলিম লেখক ও কবি-সাহিত্যিকদের প্রবন্ধ ও গল্প কবিতার আংশিক পুনঃপ্রতিস্থাপনের বিরুদ্ধে একশ্রেণির লোকদের সমালোচনাকে ধৃষ্ঠতার পরিচায়ক হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন যে, এতে তাদের এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধ বিদ্বেষী মনোভাবেরই নির্লজ্জ বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। তিনি বলেন, তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতা ও পতিত সমাজতান্ত্রিক চিন্তা-চেতনা সম্বলিত বই-পুস্তক অধ্যয়নকারীদের বীভৎস্য চেহারা ফুটে উঠছে। এদের জানা থাকা দরকার ধর্মনিরপেক্ষ ও সমাজতন্ত্রের বশবর্তী হয়ে ধর্মশিক্ষাকে  জলাঞ্জলী দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের ঈস্পিত লক্ষ্যে আজো পৌঁছতে পারা যায়নি।   তিনি বলেন, এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ধর্ম ইসলাম ‘একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান’। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই সিলেবাস প্রণয়ন করতে হবে।
মানুষের আমল-আখলাক, আচার-ব্যবহার, জীবন ধারণ, জীবন-মনন, শাসন পদ্ধতি, অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, দর্শন, ব্যবসায়-বাণিজ্য, ইতিহাস-ঐতিহ্য, আইন-আদালত, সংস্কৃতি, উত্তরাধিকার, উৎসব, আনন্দ, জন্ম-মৃত্যু প্রভৃতি বিষয়াদি অন্তর্ভুক্ত রেখে সুষ্পষ্ট ঐশী বিধান ও মহানবীর (সা.) সর্বোত্তম জীবনাদর্শানুযায়ী জীবন পরিচালানার ধারা অব্যাহত রাখার দিকে লক্ষ্য রেখে সিলেবাস প্রণয়ন করতে হবে। তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, বরং ইদানিং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধর্ম শিক্ষাকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।



 

Show all comments
  • mdanwarali65 ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১০:৩২ এএম says : 0
    thank for islami oykkozut
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ