বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাবি প্রতিবেদক : গত শনিবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) শিশু সার্জারি বিভাগে ২০৫ নম্বর ওয়ার্ডের ১ নম্বর বেডের এক রোগীর আত্মীয়রা ওই ওয়ার্ডে দায়িত্বরত মারিয়া তানজুম নামের পঞ্চম বর্ষের এক ছাত্রীর সাথে অশালীন আচরণ করে। পরবর্তীতে ফারহানা আরেফিন কাকন নামের দায়িত্বরত ইন্টার্নি চিকিৎসক তা থামাতে গেলে রোগীর এক আত্মীয় ওয়ার্ডের জানালার গ্লাস ভেঙে তার উপর হামলা করে, ফলে ওই চিকিৎসকের হাত গভীরভাবে কেটে যায় ও রক্তক্ষরণ হয়। জানা যায়, ওই রোগীর ওইদিন অপারেশন হওয়াতে চিকিৎসকরা তার সাথে অতিরিক্ত অ্যাটেন্ডেন্ট থাকতে বাধা দেয় রোগীর নিরাপত্তার জন্য। ফলে রোগীর সাথে থাকা ওই অ্যাটেন্ডেন্ট ক্ষেপে গিয়ে চিকিৎসকদের সাথে তর্ক-বিতর্ক করতে থাকে। এক পর্যায়ে ওই আত্মীয় চিকিৎসকের উপর হামলে পড়ে।
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে রোববার ‘ইন্টার্নি চিকিৎসক পরিষদ’ এক সংবাদ সম্মেলনে ওই ঘটনার সুষ্ঠু ও দ্রুত বিচার দাবি করে এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বরাবর এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দাবি জানায়।
এ ঘটনায়, গতকাল সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের (ঢামেক) ‘কে-৭০’ ব্যাচের আহ্বানে ঢামেকের ‘কে-৭০’ থেকে ‘কে-৭৪’ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা সকাল সাড়ে ১১টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। তারা নানা ফেস্টুনের মাধ্যমে তাদের দাবিগুলো উত্থাপন করে। তারা ওই ঘটনার দ্রুত ও শক্ত বিচার চায় বলেও জানায়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রে. জে. মুহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আমরা অভিযোগ পাওয়ার পরপরই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আমরা অভিযুক্ত দুইজনকে পুলিশে সোপর্দ করেছি এবং অভিযুক্তদের নামে মামলা করেছি।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর জানান, আমরা দু’জনকে গ্রেফতার করেছিলাম। এর মাঝে একজনের হামলার সাথে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলে তাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে এবং আরেকজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।