বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
এসপি’র ১শ’ দিনের ক্র্যাশ প্রোগ্রাম
বিশেষ সংবাদদাতা, যশোর : সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গি দমনে ১শ’ দিনের ক্র্যাশ প্রোগ্রামের ঘোষণা দিয়েছেন যশোরের পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমান বিপিএম, পিপিএম (বার)। গতকাল (সোমবার) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে এই কার্যক্রম।
আগামী ১শ’ দিনের মধ্যে যশোরের ৮টি পৌরসভা ও ৯৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩০টি ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত করা হবে। ঈমানী দায়িত্ব হিসেবে যশোরকে মাদক সন্ত্রাস ও জঙ্গিমুক্ত করতে এই কাজ হাতে নিয়েছি। আর এতে প্রেসার গ্রুপ হিসেবে কাজ করবেন সাংবাদিকরা। তিনি রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে সভা-সমাবেশে অন্তত ১৫ মিনিট মাদক বিরোধী বক্তব্য রাখার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে সন্ত্রাস, জঙ্গি ও মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবে জেলার সকল স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সচিত্র প্রতিবেদন প্রচার করা হবে। পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, ক্র্যাশ প্রোগ্রামের পাশাপাশি আলেমদের নিয়ে বৈঠক, জুম্মার নামাজের খুৎবায় জঙ্গি বিরোধী আলোচনা, লিফলেট বিতরণ ও পোস্টারিং কার্যক্রম পরিচালনা ও জড়িতদের পরিণতি সম্পর্কে প্রচারণা চালানো হবে। তিনি মনে করেন, এতে বিরাট সুফল পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে এসবের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা ছাড়া বিকল্প নেই। এসপি বলেন, কোনো পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধেও যদি মাদক ব্যবসায়ী বা জঙ্গিদের পক্ষে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ বা প্রমাণ পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি সংবাদকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘এমন কোনো সংবাদ উপস্থাপন করবেন না, যা এই কর্মসূচিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে পত্রিকায় না লিখে আমাকে জানান। আমি তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব। এরপর আপনারা শাস্তির বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করেন। আপনারা জেনে খুশি হবেন, আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর অনেক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। জিরো টলারেন্সে কাজ করছি। যাতে পুলিশের ওপর জনগণের আস্থা বাড়ে।’
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান আরো জানান, সম্প্রতি পুলিশ সপ্তাহে যশোর পুলিশ বিভাগের সদস্যরা একাধিক পদক পেয়েছেন। এমনকি মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারে দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার পেয়েছেন। ৩১ কোটি ২৯ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য ও ১৪৯টি অস্ত্র উদ্ধার করে এ কৃতিত্ব অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া তিন কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য উদ্ধার করে যশোর পুলিশ দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। প্রসঙ্গত যশোর পুলিশ সুপার এখানে যোগদানের পর ঘোষণা দিয়েছিলেন, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে তার কাজ হবে প্রথম। তিনি ইতোমধ্যে লিফলেট প্রচার করে একে একে ২১০ জঙ্গির আত্মসমর্পণ করিয়েছেন। গুঁড়িয়ে দিয়েছেন বেশ কয়েকটি মাদক আস্তানা। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদ মো. আবু সরোয়ার, সার্কেল এসপিসহ সকল থানার ওসিগণ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।