পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : মানুষের পক্ষে অতীত দেখা সম্ভব কি-না এ নিয়ে রয়েছে অনেক মতান্তর, রয়েছে বিতর্ক। অতীত দেখা নিয়ে বা অতীতকালে প্রবেশ করা নিয়ে কল্পবিজ্ঞান ভিত্তিক অনেক ছবিও তৈরি হয়েছে। বিজ্ঞানীরা কল্পবিজ্ঞানের টাইম মেশিনের মাধ্যমে কার্বনিফেরাস উপযুগে প্রবেশ করে দেখিয়েছেন, তখনকার পৃথিবীর গাছ-গাছালি, পোকামাকড়, জীব-জানোয়ার কেমন ছিল। কিন্তু বাস্তবে এখনো তা হয়ে উঠেনি। এদিক থেকে অতীতকে দেখা এখনো কল্পবিজ্ঞানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।
তবে সম্প্রতি নরসিংদীর মাধবদী এসপি ইনস্টিটিউটের কিছু ক্ষুদে বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেছে এমন একটি টাইম মেশিন, যা দিয়ে অতীতকে দেখা সম্ভব। এই টাইম মেশিনটি তারা সম্প্রতি জেলা প্রশাসন আয়োজিত একটি উদ্ভাবনী মেলায় প্রদর্শন করে অনেক প্রশংসা কুড়িয়েছে। ক্ষুদে বিজ্ঞানী তাজুল ইসলাম, মহসিন হোসেন, তাওহিদ মাহমুদ ও ওয়াসি ভূঁইয়া এই টাইম মেশিনটি আবিষ্কার করেছে। তাদের দাবি, এই মেশিন দিয়ে অতীত দেখা সম্ভব। তারা জানায়, আমরা তখনই কোনো বস্তুকে দেখতে পাই, যখন ওই বস্তুতে আলো প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে এসে নিপতিত হয়। আমরা জানিÑ আলোর গতি প্রতি সেকেন্ডে তিন লাখ কিলোমিটার। এ অবস্থায় একজন মানুষ যদি নিজেকে একটি মাঠে চিন্তা করে এবং যেখানে তিন লাখ কিলোমিটার দূরে একটি গাছের কথা চিন্তা করে তা হলে ওই গাছ থেকে আলো প্রতিফলিত হয়ে মানুষটির চোখে পৌঁছতে এক সেকেন্ড সময় লাগবে। তা হলে এ কথা স্পষ্ট যে মানুষটি যে গাছটির ছবি দেখেছে তা এক সেকেন্ড পূর্বের গাছের অবস্থা। কিন্তু পার্থক্য খুব কম হওয়ায় লোকটি গাছটিকে বর্তমান হিসেবে ধরে নিয়েছে। এমনইভাবে রাতের আকাশে মানুষ কোটি কোটি নক্ষত্র দেখে থাকে। যার মধ্যে কিছু কিছু নক্ষত্র শত শত আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। এসব নক্ষত্র থেকে আলো আমাদের পৃথিবীতে আসতে শত শত বছর সময় লাগে। অর্থাৎ আমরা নক্ষত্রের যে অবস্থাটা দেখি তা হলো ওই নক্ষত্রের শত শত বছরের আগের অবস্থা। তার মানে আমরা নক্ষত্রের অতীত দেখছি, বর্তমান নয়। আর এসব জিনিসই আমরা টেলিস্কোপের সাহায্যে পৃথিবীতে করি তা হলে আমরা পৃথিবীর অতীত দেখতে সক্ষম হব। টেলিস্কোপ ও স্যাটেলাইট এক সঙ্গে পৃথিবী থেকে যত আলোকবর্ষ দূরে স্থাপন করা হবে আমরা পৃথিবীর তত বছরের পূরনো অবস্থা বা অতীত দেখতে পারব। স্যাটেলাইট টেলিস্কোপ ১০ আলোকবর্ষ দূরে স্থাপন করলে ১০ বছরের পূরনো দেখা সম্ভব হবে। আর এ তত্বই প্রমাণ করে উন্নত গবেষণার মাধ্যমে মানুষের পক্ষে অতীত দেখা সম্ভব হতে পারে। যেমন করে গবেষণার মাধ্যমে পৃথিবীর চারটি মহাযুগ এবং এসব মহা-যুগসমূহের উপ-যুগসমূহের প্রাকৃতিক অবস্থা জানা সম্ভব হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।