পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহিপুরে সি-প্লেনের আদলে তৈরি করা হয়েছে হোভারক্রাফট। যা নদীপথে চলবে জ্বালানি তেলবিহীন। সৌর বিদ্যুতের সহায়তায় ঘণ্টায় প্রায় ৪০ কিলোমিটার বেগে ছুটবে এটি। মহিপুর সদর ইউনিয়নের মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের মাদরাসা শিক্ষক নাসির উদ্দিনের ছেলে শাওন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ প্ল্যানেটর কলেজের রোবোটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। ছোটবেলা থেকেই তিনি একের পর এক প্রযুক্তি আবিষ্কার করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্পূর্ণ ফাইভার ও অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এর অবকাঠামো। যা জ্বালানি তেলবিহীন সম্পূর্ণ সোলার সিস্টেমে তিনজন যাত্রী নিয়ে নদীপথে চলতে পারবে। এছাড়াও হোভারক্রাফটিতে ব্যবহার করা হয়েছে আধুনিক সব প্রযুক্তি। ক্ষুদে বিজ্ঞানী মাহবুবুর রহমান শাওন ২০১৮ সালে জ্বালানি ও চালকবিহীন গাড়ি ও বাতাসের সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ বেশ কিছু প্রযুক্তি আবিষ্কার করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। ২০১৯ সালে হোভারক্রাফট আবিষ্কারের চিন্তা মাথায় আসে। পরে তার বাবার সহায়তায় সি-প্লেনের আদলে হোভারক্রাফট আবিষ্কারে সফল হন।
ক্ষুদে বিজ্ঞানী মাহবুবুর রহমান শাওন বলেন, দীর্ঘ নয় মাস দিন-রাত কঠোর পরিশ্রমের পর হোভারক্রাফট তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। আমার বাবা আমাকে উৎসাহ যুগিয়েছেন। এটার এখন লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি দরকার। যেটা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে আমদানি করতে হবে এবং ইতোমধ্যে অর্ডার করা হয়েছে। বর্তমানে হোভারক্রাফটি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের বিনোদনে ব্যবহার করতে চাই। তবে সরকারি সহায়তা পেলে এটি বাণিজ্যিকভাবে তৈরি করা সম্ভব। হোভারক্রাফট তৈরিতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪ লাখ টাকা। ওই এলাকায় হাইভোল্টেজ ব্যাটারি না থাকায় বর্তমানে এটি ইঞ্জিনের মাধ্যমে চলছে।
মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের বাসিন্দা মানিক মিয়া জানান, হোভারক্রাফটি শাওন আমাদের চালিয়ে দেখিয়েছে। আমরা একসঙ্গে চারজন এটিতে উঠেছি। নদীপথে চলতে বেশ ভালো লেগেছে। আরেক বাসিন্দা রহিম মিয়া জানান, শাওন একটার পর একটা নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার করেই চলছে। এই ক্ষুদে বিজ্ঞানী আমাদের এলাকার গর্ব। আমরা চাই শাওনের তৈরি হোভারক্রাফট সরকারি সহায়তার মাধ্যমে সারা বিশ্বে পৌঁছে যাক।
কলাপাড়া সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ইউসুফ আলী বলেন, শাওনের আবিষ্কারগুলো সত্যিই প্রশংসনীয়। তাকে উচ্চতর প্রশিক্ষণ দিলে সে আরও ভালো কিছু করতে পারবে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মো. শহিদুল হক সাংবাদিকদের জানান, ক্ষুদে বিজ্ঞানী শাওনের আগেও বেশ কিছু প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছে। তার সকল উদ্ভাবন প্রশংসনীয়। তাকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহায়তা করা হবে বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।