Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডোনাল্ড ট্রাম্প সকলকে চটাচ্ছেন কেন?

উপ-সম্পাদকীয়

| প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মোবায়েদুর রহমান : শপথ গ্রহণের পর তিন সপ্তাহও পার হয়নি। এর মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন সব কা-কারখানা করছেন যেগুলো দেখে আমেরিকাবাসী এবং সেই সাথে বিশ্ববাসী চরম বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েছেন। ইতোমধ্যেই পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে গুঞ্জন উঠেছে : প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আসলে কী চাচ্ছেন? তিনি একের পর এক বিভিন্ন রাষ্ট্রকে চটাচ্ছেন। সবশেষে ক্ষেপিয়ে তুলেছেন পৃথিবীর অন্যতম শান্তিপ্রিয় রাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়াকে। যারা অস্ট্রেলিয়ায় বাস করেন, যারা অস্ট্রেলিয়ায় আসা-যাওয়া করেন অথবা যারা দূর থেকে এই দেশটির খোঁজখবর রাখেন তারা বিলক্ষণ জানেন যে, এই বিশাল দ্বীপ দেশটি বিশ্ব রাজনীতির সাতেও নেই, পাঁচেও নেই। অথচ সেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলের সাথে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শক্ত ভাষায় কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে টেলিফোনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন যে, অস্ট্রেলিয়াসহ পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ আমেরিকার পরিস্থিতির নাকি সুযোগ নিচ্ছে। অথচ কি সুযোগ তারা নিচ্ছে সেটি তিনি স্পষ্ট ভাষায় কিছু বলেননি। যতদূর জানা যায়, ইস্যুটি অত্যন্ত তুচ্ছ এবং ক্ষুদ্র। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মানাস আইল্যান্ড এবং নারান থেকে ১২৫০ জন শরণার্থী নিয়ে তাদের আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বাস করায় সম্মত হয়েছিলেন। এ সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট ওবামা যে চুক্তি করেছিলেন, সেই চুক্তিকে মি. ট্রাম্প বোকার চুক্তি (উঁসন ফবধষ) বলে সম্বোধন করছেন। তার ভাষায়,  ‘যেসব দেশ আমাদের মিত্র তারাও সাংঘাতিকভাবে আমাদের পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে। এর একটি উদাহরণ হলো অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধাবোধ আছে। তবে সেখানে একটি সমস্যাও আছে। যে কোনো কারণেই হোক, প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেছিলেন যে, আমরা ১০০০ এরও বেশি অবৈধ অভিবাসী, যারা এখন  কারাগারে আছে, তাদের গ্রহণ করব এবং আমাদের দেশে নিয়ে আসব।’ কিন্তু কেন আমরা তাদের গ্রহণ করব? জাতীয় প্রার্থনা ব্রেকফাস্টে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘এই ১২৫০ সংখ্যাটি বৃদ্ধি পেতে পারে, ২০০০ হতে পারে, হতে পারে তারও বেশি। কিন্তু আমার প্রশ্ন, কেন আমরা তাদের গ্রহণ করব? পূর্ববর্তী প্রশাসন কিছু করে গেছে। সেগুলো হয়তো আমরা অনার করব। কিন্তু আমরা কি প্রশ্ন করতে পারি না যে, কেন আমরা সেগুলো অনার করব?,’ তিনি আরো বলেন, ‘অন্য দেশের সাথে কথা বলার সময় আমি হয়তো শক্ত (ঞড়ঁময) হচ্ছি। কিন্তু এটা নিয়ে আপনারা ভাববেন না। এই চুক্তির ফলে আমেরিকাকে মেরে ফেলে দেওয়া হচ্ছে (এড়রহম ঃড় নব শরষষবফ) বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এসব মন্তব্য অস্ট্রেলিয়ার মতো একটি শান্তিবাদী দেশেও গত বৃহস্পতিবার তীব্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। গত দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে আমি অস্ট্রেলিয়া অবস্থান করছি। এই সময়ে আমি সিডনি এবং ক্যানবেরায় বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপকভাবে ঘুরেছি। এ ছাড়াও ব্রিসবেন, পার্থ এবং অ্যাডেলাইডে যারা বাস করেন, তাদের কারো কারো সাথেও কথা বলার সুযোগ হয়েছে। তাদের প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলের সঙ্গে এমন বাজে ভাষায় ট্রাম্পের টেলিফোনে কথায় তাদের জাত্যাভিমানে আঘাত লেগেছে। একাধিকবার অস্ট্রেলিয়া আসা-যাওয়ার ফলে আমি দেখেছি যে, অস্ট্রেলিয়ানরা জাতিগতভাবে কোনো ঝুট-ঝামেলায় যেতে চায় না। এরা আরামপ্রিয় জাতি। প্রতিটি পরিবারের একাধিক মোটরগাড়ি রয়েছে। এরা ফ্রেস খাবার খায়। পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিণে অসংখ্য সাগর সৈকত। সেখানে তারা ঝাঁপাঝাঁপি  করে। যেখানে সেখানে পাবলিক টয়লেট। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। দেশজুড়ে বারবি কিউয়ের ব্যবস্থা। সারা দিন তারা চাকরি-বাকরি বা ব্যবসা-বাণিজ্য করে। ছুটির দুই দিন নিরবচ্ছিন্ন আনন্দ করে। এরা কারো ক্ষতি করে না। সাধারণ মানুষ রাজনীতির ধারে পাশে নেই। সেই জাতির বিরুদ্ধে যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প  শক্ত ভাষায় অপমানজনক কথা বলেন, তখন তারা  সেগুলোকে আর হালকাভাবে নিতে পারে না। তাই গত দুই দিন ধরে বাংলাদেশি অস্ট্রেলিয়ান থেকে শুরু করে শ্বেতাঙ্গ অস্ট্রেলিয়ানরাও উদভ্রান্ত দৃষ্টিতে প্রশ্ন করছেন : প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কী চান?
দুই.
১৯৭১ সালে সংগঠিত হয় ইরানের ইসলামী বিপ্লব। তারপর ৩৬ বছর অতিক্রান্ত  হয়ে গেছে। এই ৩৬ বছরের মধ্যে ৩৩ বছরই আমেরিকার সাথে ইরানের ছিল আদায় কাঁচকলার সম্পর্ক। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার দ্বিতীয় মেয়াদে এসে ইরানের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করায় উদ্যোগী হন। ২০১৫ সালের ৫ এপ্রিল ওবামার নেতৃত্বে ইরান মার্কিন পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বিশ্ববাসী এটিকে ঐতিহাসিক এবং যুগান্তকারী চুক্তি বলে আখ্যায়িত করেন। এই চুক্তির মাধ্যমে দুটি দেশের দীর্ঘ তিন দশকের বৈরিতার অবসান হয় এবং সার্বভৌম সমতার ভিত্তিতে মৈত্রীর এক নব যুগের সূচনা হয়। তারপর দুই বছরও পূর্ণ হয়নি। দুই দেশের ক্রমবর্ধমান উষ্ণতার সম্পর্কে ঠা-া পানি ঢেলে দিয়েছেন নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। মুসলিম ও ইমিগ্র্যান্ট বিরোধী যে নির্বাহী আদেশ তিনি জারি করেছেন তার মধ্যে ইরানকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিগত ৩৫ বছরে ইরানীরা দেখিয়েছে, তারা নতিস্বীকার করতে জানে না, তারা আপসকামী জাতি নয়। তাই ইটের বদলে তারাও পাটকেল মেরেছে। তারাও ইরানে মার্কিনিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। শুধুই কি ইরান? বিগত ১৪ বছর হলো ইরাক মার্কিন সৈন্যের পদানত রয়েছে। ইরাকি সেনারা  মার্কিনিদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। সেই ইরাককেও তিনি নিষিদ্ধের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। ১৯৫৪ সাল থেকে পাকিস্তান ও আমেরিকা দুটি মিত্র দেশ। আমেরিকার সাথে মৈত্রীর জন্য পাকিস্তানকে কম খেসারত দিতে হয়নি। হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ প্রিবাস বলেছেন যে, সেই পাকিস্তানকেও এই নিষিদ্ধের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার চিন্তাভাবনা চলছে। তাই প্রশ্ন উঠেছে, আমেরিকা সকলকে চটাচ্ছে কেন? সে আসলে কী চায়?
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে ৭টি দেশকে নিষিদ্ধ করলেন, তার জন্য কি কোনো নীতিমালা ফলো করা হয়েছে? কোনো ক্রাইটেরিয়া? পরিসংখ্যান বলে যে, সম্পূর্ণ খামখেয়ালি এবং ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের ওপর এমন চরম এবং মুসলিম বৈরী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আসুন, আমরা কয়েকটি পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করি।
পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, প্রতিবছর ৩৬ লাখ লোকের মধ্যে মাত্র ১ জন সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন। বিগত ৪ দশক। অর্থাৎ ৪০ বছরে আমেরিকার মাটিতে ৩ হাজার ২৪ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এই ৩ হাজার ২৪ ব্যক্তির মধ্যে ৯৮.৪ শতাংশই নিহত হয়েছেন ৯/১১ (নাইন-ইলেভেনের) স্টুইন টাওয়ার ও পেন্টাগন হামলায়। মার্কিনি এবং পাশ্চাত্যের অনুসন্ধান মতে, সৌদি, মিসরীয়, লেবানিজ এবং আমিরাতের বাসিন্দারা এই সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত ছিল। এখানে দেখা যাচ্ছে, যে ৭টি দেশকে ট্রাম্প নিষিদ্ধের তালিকায় এনেছেন তাদের কোনো দেশই এসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল না। তাদের তদন্ত রিপোর্ট মোতাবেক, এই হামলায় জড়িত ছিল ১৫ জন সৌদি, আমিরাতের ২ জন, মিসরের ১ এবং লেবাননের  ১ জন নাগরিক। বিগত ৪ দশক অর্থাৎ ৪০ বছরে নিষিদ্ধ ঘোষিত ৭টি দেশের কোনো মানুষ কর্তৃক একজন মার্কিনিও খুন হয়নি। এক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে : তাহলে মিসর, সৌদি আরব, তুরস্ক, আফগানিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, প্রভৃতি দেশকে কেন নিষিদ্ধ দেশসমূহের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি? তাহলে এটা কি নতুন প্রেসিডেন্টের পছন্দ-অপছন্দের নিষিদ্ধ তালিকা নয়?
আমরা আগেই বলেছি যে, ট্রাম্পের এই অ্যাকশনে বিশ্ববাসী চরম বিভ্রান্ত। এর ফলে কী লাভ হয়েছে আমেরিকার? এই নিষেধাজ্ঞা সমর্থন করেনি কানাডা। কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এসব বিধিনিষেধ আমেরিকা তথা পাশ্চাত্যের নৈতিক মূল্যবোধকে আঘাত করেছে। বিশ্ব শেয়ারবাজারে দরপতন ঘটেছে। আমেরিকার ইতিহাস এবং ঐতিহ্য বলে, যে ব্যক্তি মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তার সমালোচনা পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্টরা প্রকাশ্যে করেন না। এরকম নজির নেই। কিন্তু এবারই তার ব্যতিক্রম ঘটল। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ট্রাম্পের এই আদেশের প্রকাশ্য সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন ট্রাম্পের এই নির্দেশ আমেরিকান মূল্যবোধের পরিপন্থী। অন্যদিকে ট্রাম্পও আবার ওবামার অনেক কাজের সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। সব কিছু মিলিয়ে আমেরিকার ইতিহাসে একটি খারাপ নজির এবং প্র্যাকটিস সৃষ্টি করলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
তিন.
আবার প্রশ্ন : কি লাভ হলো আমেরিকার? জাতিসংঘের নবনিযুক্ত মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুট্রেস ট্রাম্পের নির্দেশের সমালোচনা করে সেটি প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন। ট্রাম্প একজন ব্যবসায়ী। কিন্তু ব্যবসায়ীরাও তার এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের ¯্রষ্টা মার্ক জাকার বার্গ, মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস, ওয়ারেন বাফেটসহ অনেক মার্কিন বিলিওনিয়ার ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। সমালোচনা করেছেন তার নিজের দল রিপাবলিকান পার্টির দুই সিনিয়র নেতা জন ম্যাককেইন এবং লিন্ডসে গ্রাহাম। ইংল্যান্ডের ১৭ লাখ মানুষ ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ব্রিটেন, সফরের প্রতিবাদ করে একটি স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছেন এবং ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এই ইস্যুটি উত্থাপনের দক্ষ জানিয়েছেন।
শুধু এসব প্রতিক্রিয়াই নয়। ট্রাম্পের এই আদেশে খোদ আমেরিকা দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে। সর্বশেষ জরিপে প্রকাশ, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত ৪৯% মার্কিনি সমর্থন করেছে, ৪১ শতাংশ বিরোধিতা করেছে এবং ১০ শতাংশ বলেছে, তারা বিষয়টি পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারেননি। এরকম একটি ইস্যু নিয়ে এমন সুতীব্র বিভাজন আমেরিকার অতীতে আর কখনও দেখা যায়নি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এবং ইপসোর এক গবেষণায় জানা যায় ট্রাম্পের নিজের দল রিপাবলিকান পার্টির ৫১ শতাংশ এবং ডেমোক্রেটিক পার্টির ৫১ শতাংশ সদস্য ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। তার এ সিদ্ধান্ত এখন মুসলিম বিরোধিতায় পর্যবসিত হয়েছে। যে ৭টি মুসলিম দেশের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সেই ৭টি দেশের মুসলমানরা শুধু আমেরিকার বিমানবন্দরসমূহেই নয়, অন্যান্য দেশের বিমানবন্দরেও আটক হচ্ছেন। যখন অন্য দেশের ইমিগ্রেশন অফিসাররা দেখছেন যে, ওই মুসলিম যাত্রীর চূড়ান্ত গন্তব্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তখন তারা তাকে আটকে দিচ্ছেন। ইমিগ্র্যান্টবিরোধী এ সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সাধারণ নাগরিকদের ৫৬ শতাংশ, ডেমোক্রেটদের ৭২ শতাংশ এবং রিপাবলিকানদের ৪৫ শতাংশ মনে করেন যে, আমেরিকার অব্যাহত উন্নতির জন্য তাদের দেশে আরো বেশি করে ইমিগ্র্যান্ট নেওয়া উচিত।
সিনেট ফরেন রিলেসন্স কমিটি মার্কিন শাসন ব্যবস্থা বিশেষ করে বিদেশনীতি পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী অঙ্গ সেই কমিটির চেয়ারম্যান বব কর্কার বলেছেন, নির্বাহী আদেশটি অবিলম্বে পুনর্বিবেচনা করা দরকার। ওহাইওর রিপাবলিকান সিনেটর রব পোর্টম্যান বলেছেন, ট্রাম্প শরণার্থীদের ব্যাপারে নাকি যাচাই-বাছাই করবেন। কিন্তু তার আগে তিনি কি নিজের নির্বাহী আদেশ একবার যাচাই-বাছাই করেছেন?
তবে ট্রাম্পের আদেশকে সম্ভবত সঠিকভাবে মূল্যায়ন করেছেন ব্রিটেনের রক্ষণশীল দলের পার্লামেন্ট সদস্য রুশনারা আলী। তার মতে, এই নির্বাহী আদেশটি চূড়ান্ত পরিণামে সমস্ত মুসলিমবিরোধী আদেশে পর্যবসিত হবে। ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশ সেই প্রক্রিয়ারই সূচনা মাত্র।



 

Show all comments
  • Asif ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১:৪৯ এএম says : 0
    ata hoyto tar akta kousol
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ