রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : ফুলবাড়ীতে দৌলতপুর ইউনিয়নের হড়হড়িয়াপাড়া গ্রামের লিয়াকত আলী (৩৮) খুন হবার দেড় মাস পেরোলেও এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি কোন আসামী। এই খুনের ঘটনায় রহস্যজনকভাবে পরপর ২টি মামলা দায়ের নিয়ে এলাকাবাসীদের মাঝে চলছে নানামুখী জল্পনা-কল্পনা। কিন্তু জল্পনা-কল্পনার যাই ঘটুকনা কেন সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে পুলিশ খুনিদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাবে এমনিই প্রত্যাশা করেন নিহতের বৃদ্ধ পিতা মছির উদ্দিন। মামলার সূত্রে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত বছরের ১৬ই ডিসেম্বর দৌলতপুর ইউনিয়নের হড়হড়িয়াপাড়া গ্রামের আফতাব উদ্দিন (৫০) ও তার স্ত্রী নাজমা বেগম (৪৫) রুবেল (২৫), নাজিরুল (২৮) ও তার স্ত্রী শিউলি বেগম (২৫) এবং সুজন আলী (২২) ধারালো অস্ত্রসহ হত্যার উদ্দেশ্যে একই গ্রামের খোদাবকস মন্ডলের ছেলে মছির উদ্দিন(৬৫) তার বড় ছেলে মহসিন আলী (৪৭) ও ছোট ছেলে লিয়াকত আলী (৩৮) কে বাড়ির পাশের আম বাগানে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান তাদেরকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। পর দিন ১৭ই ডিসেম্বর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মছির উদ্দিনের ছোট ছেলে খয়েরবাড়ী মাদ্রাসার অফিস সহকারী লিয়াকত আলী মারা গেলে পরিবারের অনুমতিক্রমে নিহতের চাচা দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ মন্ডল বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে ফুলবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই ঘটনায় পরবর্তীতে নিহতের স্ত্রী তাইফুন বেগম পুনরায় বাদি হয়ে দিনাজপুর আমলী আদালত-৫-এ আগের মামলার ৬ আসামিসহ আরও ৪ জনকে আসামি করে আর একটি মামলা দায়ের করেন এবং একইসাথে নিহতের স্ত্রী দাবি করেন ইতিপূর্বে থানায় বাদী হয়ে যিনি মামলা করেছেন তিনি তার পরিবারের কেউ না। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি বিরাজ করলেও পুলিশ ২টি মামলার কোন আসামীই এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি। ইউপি চেয়ারম্যান আজিজ মন্ডল কর্র্তৃক থানায় দায়েরকৃত মামলার বিষয়ে নিহতের বাবা মছির উদ্দিন জানান, ছোট ছেলে লিয়াকত আলী মারা গেলে চাচাতো ভাই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ মন্ডলকে ছেলের খুনিদের বিচারের জন্য মামলার দায়িত্বভার অর্পণ করেন। তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে নিহত ছেলের স্ত্রীর দায়ের করা মামলার বিষয়ে তাকে কোন কিছু জানায়নি এবং নতুন করে যে ৪ জনকে আসামি করা হয়েছে তা সত্য নয় বলেও তিনি দাবি করেন। এদিকে এ মামলার প্রথম বাদী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ মন্ডল জানান, নিহত ব্যক্তি লিয়াকত আলীর বাবা তার জ্যাঠাতো ভাই, আর তাই সম্পর্কের সূত্র ধরেই তিনি এই মামলা করেছেন। তিনি আরও জানান, নিহতের স্ত্রী দুষ্ট চক্রের প্ররোচনায় তার ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার জন্য বিভিন্ন মহলে অভিযোগ করছেন যে, তিনি (চেয়ারম্যান সাহেব) ওই পরিবারের কেউ নন। প্রকৃতপক্ষে নিহতের স্ত্রীর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট যা তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণিত হবে। এ বিষয়ে ফুলবাড়ী থানার ওসি তদন্তের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণ চলছে, পরপর ২টি মামলা দায়েরের বিষয়ে তিনি বলেন, মূলত ২টি মামলারই তদন্ত চলছে ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।