Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পানামার গোডাউন থেকে কোটি টাকার পণ্য উধাও, তদন্ত কমিটি গঠন

| প্রকাশের সময় : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী পানামা পোর্টের ৫নং গোডাউন থেকে কোটি টাকা মূল্যের ৪৮০ কার্টুন কসমেটিক্স পণ্য গায়েব হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে রাজশাহী বিভাগের কাস্টম ও ভ্যাট এক্সাসাইজ অধিদপ্তরের একজন কমিশনার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গোডাউন সিলগালা করে দিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ জানুয়ারি বন্দরের পানামা ইয়ার্ডের ৫নং গোডাউন থেকে প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের ৪৮০ কার্টুন কসমেটিক্স পণ্য গায়েব হয়ে যায়। বিষয়টি গত ৩১ জানুয়ারি জানাজানি হলে রাজশাহী বিভাগের কাস্টম ও ভ্যাট এক্সসাইজ অধিদপ্তরের যুগ্ম কমিশনার মানস কুমার বর্মন পরিদর্শনে আসেন। এ সময় গোডাউনটি সিলগালা করে দেন। সূত্রটি আরো জানায়, গায়েব হওয়া পণ্যগুলোর আমদানিকারক রুবেল হোসেন এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট জে আর ট্রেড-এর মালিক জামিরুল ইসলাম এবং পানামা, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, কাস্টম ও আমদানিকারকদের কয়েকজন অসাধু ব্যক্তি প্রায় ৭০ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার জন্যই পণ্যগুলো অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন। কারণ যখন পণ্যগুলো আমদানি করা হয় তখন তার রাজস্ব ছিল প্রায় ২০ লাখ টাকা। আর বর্তমানে ওই পণ্যে রাজস্ব দিতে হচ্ছে প্রায় ৭০ লাখ টাকা। আর এ রাজস্ব ফাঁকি দিতেই ৪ প্রতিষ্ঠানের কিছু অসাধু ব্যক্তিদের কারসাজিতে পণ্যগুলো উধাও হয়ে গেছে। রাজশাহী বিভাগের কাস্টম ও ভ্যাট এক্সাসাইজ অধিদপ্তরের যুগ্ম কমিশনার পোর্ট পরিদর্শনে এসে ৫নং গোডাউনে সামান্য কিছু মালামাল দেখতে পেলেও কার্টুনের গায়ে আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের কোনো টোকেন বা নমুনা না থাকায় অনুসন্ধান চালালে এ তথ্য বেরিয়ে আসে। এব্যাপারে আমদানিকারক রুবেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি পণ্য গায়েবের ঘটনা স্বীকার করে অন্য কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। মেসার্স জে আর ট্রেডার্সের মালিক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট জামিরুল ইসলাম খুদি আমদানিকারক রুবেলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নয় বলে জানান। অন্যদিকে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন-অর-রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনাটি জানেন না বলে জানান। পানামা পোর্র্টের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মাইনুল ইসলাম জানান, গত ৩ জানুয়ারি ৩ কার্টুন জুয়েলারি ও ২ কার্টুন প্যাডলক গায়েব হয়েছে যার আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ১৪ হাজার টাকা। এব্যাপারে একটি মামলাও হয়েছে। সহকারী কমিশনার সোলাইমান হোসেন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এব্যাপারে রাজশাহী বিভাগের কাস্টমস ও ভ্যাট এক্সসাইজের কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোনে চাঁপাই চিত্রকে গোডাউন থেকে মালামাল উধাও হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ