Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ বাড়ছে ক্ষোভ

মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া

| প্রকাশের সময় : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বেতাগী (বরগুনা) উপজেলা সংবাদদাতা : বরগুনার বেতাগীতে তালিকাভুক্ত ও ভাতাপ্রাপ্ত অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে অভিযোগ ও অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে যাচাই-বাছাই কমিটিতে উপজেলার বাইরের লোক সভাপতি এবং কমিটিতে যুদ্ধকালীন কমান্ডারবাদ দেয়ায় জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। একাধিক মুক্তিযোদ্ধা অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা যাতে বাদ না পড়ে সেই লক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন করেছে। কিন্তু অমুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা বানানোতে সকল অনিয়মের আশ্রয় নেয়া হয়েছে। দু-একজন অখ্যাত ব্যক্তি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য যাচাই-বাছাই কার্যক্রম ব্যাহত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এতে সরকারের মহৎ উদ্দেশ্য ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী উপজেলার বাসিন্দা নবম সেক্টরের অধীনস্থ গ্রুপ কমান্ডার আলতাফ হায়দার তালিকাভুক্ত ও ভাতাপ্রাপ্ত ৩১০ জন মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে ১৩৬ জনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অবৈধভাবে তালিকাভুক্তির অভিযোগ করেন। এ প্রেক্ষিতে উপযুক্ত প্রমাণাদিসহ তাদের স্ব-শরীরে হাজির হওয়ার জন্য উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাকে যাচাই-বাছাই কমিটি ইতোমধ্যে নোটিশ দিয়েছে। এছাড়াও ঢাকার কাকরাইল থেকে কামাল হোসেন নামে এক অখ্যাত ব্যক্তি তালিকাভুক্ত ৭৫ জন মুক্তিযোদ্ধার নামে অভিযোগ করেন। এ খবরে অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধার মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে উপজেলার  প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে অনলাইনে আবেদনকারী ৩১০ জন ফরম জমাদান মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি)  শেষ হয়েছে। এর আগে শনিবার (২৮ জানুয়ারি) বেতাগী উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে বাছাই কমিটির সভাপতি কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের দফতর সম্পাদক একেএম শামসুদ্দিন সানুর সভাপতিত্বে  মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু করা হয়। এসময় বরগুনা জেলা কমন্ডার আব্দুর রশীদ, উপজেলা কমান্ডার আব্দুল ওয়াজেদ হাওলাদারসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। যাচাই-বাছাই কমিটি সূত্রে জানা গেছে, ৬ ফেব্রুয়ারি বিবিচিনি, বেতাগী সদর ইউনিয়ন, পৌরসভা, ৭ ফেব্রুয়ারি হোসনাবাদ, মোকামিয়া, বুড়ামজুমদার ও ৮ ফেব্রুয়ারি কাজিরাবাদ, সরিষামুড়ি ইউনিয়নের  ওইসব আবেদনকারীদের যাচাই-বাছাই এবং ৯ ফেব্রুয়ারি এক তালিকাভুক্ত এবং ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ সংক্রান্ত আপত্তির নিষ্পত্তিকরণে শুনানির কথা জানানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এমএম মাহমুদুর রহমান বলেন, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ও কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাছাই প্রক্রিয়ার কার্যক্রম চলছে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ নিষ্পত্তিকরণে ইতোমধ্যে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। উপজেলা কমান্ডার আব্দুল ওয়াজেদ হাওলাদার বলেন, এধরনের কাজ কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য নয়। মুক্তিযোদ্ধার বিষয় নতুন করে আপত্তি ও যাচাই-বাছাই কমিটি নিয়ে অনেকেই আমার কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলার যুদ্ধকালীন কমান্ডার আব্দুল মোতালেব হোসেন বলেন, এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। ব্যক্তিগত খেয়াল-খুশি অনুযায়ী এসব অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে। উপজেলার  যুদ্ধকালীন কমান্ডার হিসাবে আমার চেয়ে এখানকার বিষয় কেউ ভালো জানেন না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ