গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) উপজেলা সংবাদদাতা : মা আমাকে ক্ষমা করে দিও, আমি যদি কোন অন্যায় করে থাকি আমাকে ক্ষমা করে দিও। গতকাল রোববার ভোর রাতে মোবাইলে ফোন দিয়ে তার মা সাহিদা বেগমকে এভাবেই দুঃখ প্রকাশ করে। তারপরই পুনরায় ফোন আসে তার মেয়ে মারাত্মক অসুস্থ। হাতের মেহেদীর রং এখনো মোছেনী, দেড় মাস পূর্বে বিয়ে হলেও সকলের মায়া ত্যাগ করে গলায় ফাঁস লাগানো লাশ পাওয়া গেল কলেজছাত্রী মিতা খাতুনের। কথাগুলো এভাবে বলে বারবার মুর্ছা যাচ্ছিলেন নিহত কলেজ ছাত্রী মিতার মা সাহিদা বেগম। বালিয়াকান্দি ইউনিয়নের পাইককান্দি গ্রামের শামসুল শেখের স্ত্রী সাহিদা বেগম জানান, তার মেয়ে মিতা খাতুন বালিয়াকান্দি ডিগ্রী কলেজের ডিগ্রী শেষ বর্ষের ছাত্রী। দেড় মাস পূর্বে বালিয়াকান্দি ইউনিয়নের শালকী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক ফকিরের ছেলে মোস্তাক ফকিরের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। গতকাল রোববার ভোরে মেয়ে ফোন দিয়ে ক্ষমা চায়। তার কিছুক্ষণ পরই খবর পাই মেয়ে মারাত্মক অসুস্থ। এসে জানতে পারি গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঘরে ঝুলছে। মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন। পল্লী চিকিৎসক দাউদ হোসেন জানান, সকালে জাকির ফকির ফোনে তাদের বাড়িতে যেতে বলে। যেয়ে দেখি মিতা মারা গেছে।