পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : এখন পোশাকধারীরা সরকার পরিচালনা করছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শনিবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, এখন সরকার তো আওয়ামী লীগ চালায় না, সরকার চালাচ্ছে পোশাকধারী লোকেরা। তারা আজকে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে। যার ফলে রাজনৈতিক কোনো চিন্তা-ভাবনা এখানে আসছে না। এই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং সাংবাদিকদেরকে যেভাবে হয়রানি করা হয়েছে, অপমান করা হয়েছে, নির্যাতন করা হয়েছে, আর কোনো সরকারের আমলে তা করা হয়নি। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে মহানগর জাগপার উদ্যোগে এই আলোচনা সভা হয়।
দেশের গণমাধ্যমের অবস্থা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমি শুনেছি ৪৩টা চ্যানেল, অসংখ্য পত্রিকাÑ সত্য কথাগুলো লিখতেও অনেকেই সাহস পাচ্ছে না। কেনো পাচ্ছে না? উপরে ফ্যাসিজমের থাবা। বললেই পত্রিকার মালিককে তুলে নিয়ে যাওয়া, চ্যালেনের মালিককে তুলে নিয়ে যাওয়া, তার ইনকাম ট্যাক্স ধরে ফেলা, তার রিটার্ন ধরে ফেলা, তার কোথায় ব্যাংকে কি আছে না আছে, সেগুলো দেখা, তার শিল্প প্রতিষ্ঠানে ঋণ বন্ধ করে দেয়া। সর্বোপরি সাগর-রুনির মতো হত্যা-গুম এবং সর্বশেষ সিরাজগঞ্জের সাদাতপুরে একজন সাংবাদিককে গুলি করা হয়েছে। সেই সাংবাদিক ভাই শহীদ হয়ে গেছেন। দুই সপ্তাহ আগে আশুলিয়ায় একজন সাংবাদিকের ওপর নির্মমতার কথাও বলেন ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে আশুলিয়ায় শ্রমিকদের অধিকারের আন্দোলনের কথা সাংবাদিক নাজমুল সাহেব তুলে ধরেছেন, সত্য কথা তুলে ধরেছেন, তার জন্য প্রাপ্য কী? প্রাপ্য-রিমান্ড, শারীরিক নির্যাতন এবং একটার পর এক একটা মিথ্যা মামলা।
পুরনো ঢাকায় বিশেষ জজ আদালতের বিচারের ওপর বেগম খালেদা জিয়ার অনাস্থার কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আইনে আছে, বিবাদী যাদেরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, বিচার চলাকালীন সময়ে আমি যদি বলি যে, এই বিচারের ন্যায় বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। সেখানে আইনে স্পষ্ট করে বলা আছে, কলম বন্ধ করে বসে থাকতে হবে। তা তো করা হয়নি। জোর করে চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমি জানি না, এরপরে আদালত অবমাননার ব্যাপার হয় কিনা।
খালেদা জিয়ার বিচারের সময়ে পুরনো ঢাকার আদালতের অবস্থা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যেদিন মামলা চলে, মনে হয় যেন যুদ্ধক্ষেত্র। চতুর্দিকে র্যাব-পুলিশ-আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন আর যা যা আছে, বন্দুক নিয়ে, জলকামান-প্রিজন ভ্যান নিয়ে এমনভাবে রাখা হয় মনে হয়, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ট্যারোরিস্টকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেখানে। এটা কোন ধরনের রাজনীতি? গণতন্ত্রের প্রতি এটা কোন ধরনের শ্রদ্ধা।
দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা, যিনি তিন তিনবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন, কোনো দিন পরাজিত হননি এবং যিনি উপর থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসেননি। জনগণের সঙ্গে রাজপথে সংগ্রাম করে তিনি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন, সেই নেতাকে যখন আপনি আজকে এভাবে যখন অপমান করেন, তখন লজ্জা পায়। মিসরের সিসিও লজ্জা পায় কারণ ওই মুশরিকে এভাবে বসিয়ে রাখা হয়নি। সারাদিন বসিয়ে রাখছেন। কারণ আপনারা ক্ষমতায় আছেন, যা খুশি তাই করতে পারেন, দিনকে রাত, রাতকে দিন করতে পারেন।
প্রতিদিন বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নতুন নতুন মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, যত রকমের অস্ত্র আছে, সব অস্ত্র বিরোধী দলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। আজকে গ্রাম্য মোড়লের মতো মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা হচ্ছে।
আমরা বলতে চাই, যত মামলা দেন, যদি ফাঁসিও দেন, আমরা আমাদের দায়িত্ব থেকে সরে যাবো না। কারণ আমরা জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেই যাব, কথা বলেই যাব।
মহানগর জাগপা’র সভাপতি আসাদুর রহমান খাঁনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় জাগপা’র সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, সহ-সভাপতি রেহানা প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার লুৎফর রহমান, যুব দলের সাবেক সহ-সভাপতি অ্যালবার্ট পি কস্টা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।