Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পর্যটকদের পদচারণায় মুখর পারকি সৈকত

| প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

জাহেদুল হক, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) থেকে : চট্টগ্রামের আনোয়ারার পারকি সৈকতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার ছাড়াও সপ্তাহের অন্যান্য দিনেও পর্যটকেরা ভিড় করছেন সৈকতে। স্থানীয় সূত্র জানায়, এ পর্যটন মৌসুমে হাজার হাজার পর্যটকে গিজ গিজ করছে আনোয়ারার পারকি সৈকতে। প্রায় প্রতিদিন ব্যক্তিগতভাবে কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বেড়াতে আসছেন অনেকে। তরুণেরা দলবেঁধে ডিজে পার্টি নিয়ে আনন্দ-উপভোগ করেছে। সৈকতে আগত দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা বিধানে স্থানীয়ভাবে গড়ে ওঠা ব্যবসায়ী সংগঠনের পাশাপাশি প্রশাসনও উদ্যোগ নিয়েছে। সৈকত ঘুরে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সৈকতে বেড়াতে এসছেন পর্যটকেরা। তারা পারকি পয়েন্ট থেকে বাতিঘর পয়েন্ট পর্যন্ত এলাকায় অবস্থায় নিয়েছেন। এ সময় অনেককে দেখা গেছে এসব পয়েন্টের ঝাউবাগানে তাঁবু স্থাপন করে রান্না ও খাওয়ার আয়োজন সারছেন। আবার কেউ সৈকত এলাকার বিভিন্ন পার্কে ভাড়া নিয়ে বনভোজনের অনুষ্ঠান করছেন। সৈকত এলাকা ঘুরে জানা গেছে, সৈকতে বেসরকারিভাবে গড়ে উঠেছে কয়েকটি রিসোর্ট ও বিনোদন কেন্দ্র। আছে দেড় শতাধিক বিভিন্ন ধরনের খাবারের দোকান ও সরকারিভাবে বানানো শৌচাগার। সৈকতের দোকান ও প্রতিষ্ঠানগুলোয় গত বছর বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। ফলে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যার সময়ও সাগরের সান্নিধ্যে সময় কাটান আগতরা। নগরের অলঙ্কার শপিং কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ী সালেহ মুছা (২৮) বলেন, ‘কয়েকজন বন্ধু মিলে সৈকতে বেড়াতে এসেছি, খুব ভালো লাগছে।’ সৈকতের ব্যবসায়ী লিয়াকত আলী খান বলেন, ‘এ বছর পর্যটন মৌসুম শুরু হতেই সৈকতে পর্যটক বাড়ছে। এখানে আগতরা সবাই আমাদের অতিথি। আমরা তাদের সার্বিক সহযোগিতা করি।’ চট্টগ্রাম সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও স্থানীয় বারশত ইউপি চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ বলেন, পারকি সৈকত চট্টগ্রাম ও আশপাশের মানুষের জন্য একটি আকর্ষণীয় পর্যটন এলাকা। নগর থেকে যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো ও দূরত্ব কম হওয়ায় এখানে পর্যটকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। জানতে চাইলে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিুকুল ইসলাম বলেন, বেড়াতে আসা পর্যটকের নিরাপত্তা বিধানে আমরা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। এখানে সার্বক্ষণিক পুলিশের একটি দল থাকে। আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গৌতম বাড়ৈ জানান, ‘পারকী একটি দৃষ্টিনন্দন সৈকত। এটি ভবিষ্যতে দেশের অন্যতম সেরা সৈকতে রূপ নেবে। তিনি আরো জানান, সৈকতের উন্নয়ন ও সৈকতে আসা পর্যটকেরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরতে পারেন সেজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ