পুনরায় যমুনা ব্যাংকের এমডি হলেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ
যমুনা ব্যাংক লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে আরও ৫ বছরের জন্য পুনরায় নিয়োগ পেয়েছেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে পুনঃনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে।
কর্পোরেট ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাতটি মুসলিম প্রধান দেশ থেকে অভিবাসন বন্ধের নির্বাহী আদেশের প্রভাবে মন্থর হয়ে পড়তে পারে মার্কিন অর্থনীতি। বিশেষ করে দেশটির শীর্ষ দুই রফতানিনির্ভর শিল্প পর্যটন ও উচ্চশিক্ষায় এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে করারোপ করলে তাতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের রূপরেখারই আমূল পরিবর্তন ঘটাবে। মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ ও নাফটা থেকে সরে আসার ঘোষণার পর পরই অভিবাসন-সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। তার এ পদক্ষেপ শুধু সাতটি দেশ নয়, বরং অন্যান্য দেশের ভ্রমণকারী ও ছাত্রদেরও যুক্তরাষ্ট্রে আসতে নিরুৎসাহিত করতে পারে বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন। ট্রাম্পের এ পদক্ষেপ একই সঙ্গে তার আমেরিকা ফার্স্ট ও বিশ্বায়নের বিমুখী মনোভাবের প্রকাশ। আর মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ বাণিজ্যিক অবস্থান চীন ও অন্যান্য অর্থনীতির সামনে শূন্যস্থান পূরণের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে দিচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প বৈশ্বিক বিনিময়ের দুটি ইতিবাচক দিক পণ্য ও পরিষেবা উভয়কেই পিছিয়ে আনছেন। মার্কিন অর্থনীতিতে বিদেশী পর্যটকদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। ২০১৫ সালে দেশটিতে বিদেশী পর্যটকরা হোটেল কক্ষ ও রেস্তোরাঁয় খাবার থেকে শুরু করে উড়োজাহাজের টিকিট এবং বিনোদন পার্কের পেছনে প্রায় ১৯ হাজার ৯শ কেটি ডলার ব্যয় করেছেন, যা আসলে রফতানি আয় হিসেবে বিবেচিত। এদিকে বহু উচ্চপ্রযুক্তির কোম্পানি ট্রাম্পের অভিবাসননীতির বিরোধিতা করেছে। কোম্পানিগুলো জানায়, এ সিদ্ধান্ত উচ্চদক্ষতাসম্পন্ন প্রতিভা নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় তাদের পিছিয়ে রাখবে। পর্যটন ও শিক্ষা খাত থেকে আয় যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি হ্রাসে সহায়ক। এ খাত দুটি থেকে আয়ের পরিমাণ বিদেশে গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশ রফতানি আয়ের চেয়ে বেশি। ২০১৫ সালে গাড়ি ও যন্ত্রাংশ রফতানি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মোট আয়ের পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার ২শ কোটি ডলার। এছাড়া দেশটির কৃষি রফতানির পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার ৭শ কোটি ডলার। এদিকে মেক্সিকোর সঙ্গে সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণে সহায়তার জন্য রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্যদের প্রস্তাবিত সীমান্ত কর বৈশ্বিক বাণিজ্যের রূপরেখা বদলে দেবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সীমান্তে ২০ শতাংশ করারোপ করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যে জড়িত দেশগুলো ক্ষতির মুখোমুখি হবে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে মেক্সিকো। এছাড়া ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডসহ এশিয়ার ম্যানুফ্যাকচারিং নির্ভর অর্থনীতি ও কানাডা বড় ক্ষতির মুখে পড়বে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।