রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
জাহেদুল হক, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) থেকে : সুষ্ঠু পরিকল্পনা, ইচ্ছেশক্তি আর শ্রম দিলে যে কোনো খামার বা প্রকল্প লাভজনক প্রতিষ্ঠানে গড়ে তোলা সম্ভব-সেটাই প্রমাণ করেছেন চট্টগ্রামের আনোয়ারার চাষি মিলন চন্দ বৈদ্য(৬০)। তিনি জানান, উপজেলার বটতলী গ্রামের পরীর বিলে এক কানি (৪০শতক) জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন। একই খেতে সাথী ফসল হিসেবে আবাদ করেছেন টমেটো, পিঁয়াজ, রসুন, মুলা ও ধনিয়া। নিজের সীমিত সম্পদের প্রতিইঞ্চি মাটির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে অধিক ফসল ও লাভবান হবেন এটিই আশা। একই সাথে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ হিসেবে গড়ে তোলার পথ দেখাচ্ছেন অন্য কৃষকদের। তার দেখার দেখায় স্থানীয় চাষিরাও ঝুঁকছেন সাথী ফসল চাষে। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, খেতের প্রধান চাষ সারি সারি ভুট্টা গাছ হাওয়ায় দোলছে। আর কিছু দিন পরেই বের হবে ভুট্টার মোচা। খেতের চারপাশে বেড়া দিয়ে রেখেছে সাথী ফসল টমেটো। সারিবদ্ধ ভুট্টার মাঝে মাঝে লাগানো হয়েছে পিঁয়াজ-রসুন। সেইসাথে স্বল্পমেয়াদি শস্য মুলা আর ধনিয়া। একই জমিতে ভুট্টা, টমেটো, পিঁয়াজ, রসুন, মুলা, ধনিয়াসহ ছয় প্রকারের ফসল চাষ করেই সফলতা অর্জন করেছেন। এলাকায় তিনি একজন সফল চাষি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। কারণ এককানি জমিতে ভুট্টা চাষে খরচ ১৫ হাজার টাকা, সেখানে সাথী ফসল চাষ করেছেন আরো ৫টি। পর্যায়ক্রমে স্বল্পমেয়াদি ৫টি ফসল বিক্রি করে কষ্টের ফল হাতে পেয়ে মনের আনন্দে চলবেন তিনি। সেখানে খেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষি মিলন বৈদ্যের ছেলে সুভাশিষ চন্দ বৈদ্য (২৪) জানান,মাস দেড়েক আগে এককানি জমিতে সাথী ফসল চাষ করেন। এরমধ্যে স্বল্পমেয়াদি ফসল শাক, মুলা ও ধনিয়া বিক্রি করে খেতের খরচ সামলাচ্ছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর, বারশত, বটতলী, বরুমচড়া, জুঁইদন্ডী ও হাইলধর ইউনিয়নের প্রায় ১০ একর জায়গায় সাথী ফসল চাষ হয়েছে। এর আগে তেমন জনপ্রিয় ছিল না সাথী ফসল চাষ। কৃষকদের বেশি লাভবানের কথা চিন্তা করে কৃষি অফিস দুয়েক বছর ধরে উদ্যোগ নিয়েছে। এতে করে কৃষকরাও লাভবান হচ্ছেন। বটতলী ইউনিয়নের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা নীল কমল বড়ুয়া বলেন, এই ইউনিয়নের কৃষকরা সাথী ফসল চাষের ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এখানে ব্যাপক হারে সাথী ফসল চাষাবাদ করা হয়েছে। এ ফসল চাষাবাদের জন্য জৈব সারই বেশি ব্যবহৃত হয়। এ কারণে বীজ কেনা ছাড়া তেমন কোনো খরচ নেই। উপ-সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. সরওয়ার আলম জানান, একই জমিতে একত্রে বা পর্যায়ক্রমে একাধিক ফসল উৎপাদনের পদ্ধতিকে সাথী ফসল চাষ বলা হয়। সাথী ফসল চাষে পরিচর্যার কাজ একই শ্রমে ও একই খরচে হয়ে যায়। এতে কৃষকরা বেশি লাভবান হয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. একরাম উদ্দিন ইনকিলাবকে বলেন, কৃষিখাতকে উন্নয়নমুখী ও লাভজনক করতে উপজেলার দুই ফসলি জমিগুলোকে তিন বা চার ফসলি করার চেষ্টা চলছে। এবছর অনেক জমিতে সাথী ফসল চাষ করেছেন কৃষকরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।