Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাছ ধরতে পারছে না জলমহালের লিজধারী মৎস্যজীবীরা

প্রভাবশালীদের বাধা ও হুমকি

| প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা : নেত্রকোনা জেলার হাওর উপজেলা হিসাবে খ্যাত খালিয়াজুরী উপজেলার ‘নরসিংহপুর জলমহালটি আমানীপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামে বাংলা ১৪১৯ থেকে ১৪২৪ পর্যন্ত ৬ বছর মেয়াদি ইজারা দেয়া হলেও উক্ত সমিতির মৎস্যজীবীরা একটি প্রভাবশালী মহলের বাধা ও হুমকির মুখে জলমহালে গিয়ে মাছ ধরতে পারছেন না বলে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। লিখিত অভিযোগে প্রকাশ, পার্শ্ববর্তী হবিগঞ্জ জেলার আজমেরীগঞ্জের সুধীর রঞ্জন দাস নামে জনৈক ব্যক্তি খালিয়াজুরী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ছানোয়ারুজ্জামান জোসেফসহ স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে নরসিংহপুর জলমহল লুটপাটের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বৈধ লিজধারীরা মলমহলে মাছ ধরতে না পারায় দরিদ্র মৎস্যজীবীরা অসহায় অবস্থার মধ্যে দিনাতিপাত করছে। এদিকে প্রতিকার চেয়ে সমিতির পক্ষে সমিতির সভাপতি মনিরুল হক নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে লিখিত দরখাস্ত দিয়েছেন। তিনি আরো জানান, কোনো বাধা ছাড়াই যাতে তিনি জলমহালে মাছ ধরতে পারেন সেজন্য ২০১৬ সনের ১৮ অক্টোবর জেলা প্রশাসন হতে ও খালিয়াজুরী থানার ওসি, এএসপি (খালিয়াজুরী সার্কেল) এবং পুলিশ সুপারের নিকটও চিঠি প্রদান করেন। কিন্তু এরপরেও তারা জলমহালে যেতে পারছেন না। গত মঙ্গলবার মনিরুল হক সমিতির সদস্যদের নিয়ে নেত্রকোনায় এসে স্থানীয় সাংবাদিকদের নিকট লিখিত অভিযোগ প্রদান করে বলেন, নরসিংহপুর জলমহাল ইজারা নেবার পর তারা সরকারের যাবতীয় প্রাপ্য খাজনা পরিশোধ করে মাছ ধরে আসছিলেন। কিন্তু গত কিছুদিন যাবৎ আজমেরীগঞ্জের সুধীর রঞ্জন দাস নামে জনৈক ব্যক্তি অবৈধ ভাবে মাছ ধরার জন্য জলমহালে অপচেষ্টা করছে। তাকে এই কাজে স্থানীয় এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ কিছু ব্যক্তি সহায়তা প্রদান করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। এই মহলটি গত ১২ জানুয়ারি ও ১৯ জানুয়ারি জলমহালে মাছ ধরার চেষ্টা চালায়। তিনি অত্যন্ত ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, নিজেদের সমিতির নামে ইজারা থাকা সত্ত্বেও প্রকৃত মৎস্যজীবীরা জলমহালে মাছ ধরতে না পারায় এবং স্থানীয় প্রভাবশালীদের হুমকির মুখে তিনি উচ্চ আদালতে সিভিল মামলা (সিভিল রিভিশন নং ৫৭/২০১৭) দায়ের করলে গত ২৯ জানুয়ারি উচ্চ আদালত (হাইকোর্ট) স্থিতিবস্থা বজায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করেন। উচ্চ আদালতে মামলা করায় এখন ওইপক্ষ তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বলেও তারা জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ