পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সরকার, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পরীক্ষা ব্যবস্থাকে হেয় করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া ও মিথ্যা প্রশ্নপত্র উদ্দেশ্যমূলকভাবে দেয়া হচ্ছে। আসল প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কোন সুযোগই নাই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। গতকাল (বৃহস্পতিবার) চলতি বছরের এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষার প্রথম দিন রাজধানীর ধানম-ির গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি একথা বলেন। গতকাল পরীক্ষার প্রথম দিনে সকাল ১০টা থেকে এসএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, সহজ বাংলা প্রথম পত্র এবং বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রথম পত্রের পরীক্ষায় অংশ নেন শিক্ষার্থীরা। মাদরাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনালে বাংলা-২, আর দাখিল ভোকেশনালে নতুন সিলেবাসে বাংলা-২ সৃজনশীল ও পুরাতন সিলেবাসে বাংলা-২ সৃজনশীল বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন পরীক্ষার্থীরা।
পরীক্ষা শুরুর আগে কেন্দ্র পরিদর্শন যান শিক্ষামন্ত্রী। এ সময় তিনি উপস্থিত অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রশ্নপত্র যেন ফাঁস না হয় সেজন্য মন্ত্রীকে ব্যবস্থা নিতে বলেন অভিভাবকরা। শিক্ষামন্ত্রী স্কুলটির একটি কক্ষও পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসেন। কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমি অভিভাবকদের বলেছি, প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীর ফাঁদে পড়বেন না, তাদের পেছনে ছুটবেন না। কারণ, তারা সবাই ভুল-ভুয়া প্রশ্ন দেয়। নাহিদ বলেন, আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে। তিন বছর ধরে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। আমরা মনিটরিং কমিটি করেছি। আইন-শৃঙ্খলা কমিটি কাজ করছে। বিজি প্রেসের মতো বড় জায়গায়ও প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রতিরোধ করতে পেরেছি। পুলিশ ও গোয়েন্দারা তৎপর রয়েছে। কেউ নজরদারির বাইরে থাকতে পারবেন না। অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি, সব বলবো না। তবে কিছু রিপোর্ট আমাদের কাছে এসেছে যে, কেউ ফেসবুকে দিচ্ছে, কী উদ্দেশ্যে দিচ্ছে। আগে বিক্রি করে অর্থ পাওয়ার উদ্দেশ্যে ছিল। এখন এটা নেই। পরীক্ষা ও সরকারকে নিয়ে বিভ্রান্ত করার জন্য প্রশ্নপত্র ফাঁস করা হচ্ছে।
প্রশ্নপত্র মূল্যায়নের নতুন পদ্ধতি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, উত্তরপত্র মূল্যায়নে আমরা পরীক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে শিক্ষকরা যাতে সঠিকভাবে সমতার ভিত্তিতে নম্বর দিতে পারেন। অপ্রয়োজনে কাউকে বেশি নম্বর বা কম নম্বর দেবেন না। যা সঠিক তাই করবেন। কেউ মেনে না চললে তাকে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে। শিক্ষামন্ত্রী জানান, প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে সব পরীক্ষার্থীর হাতে খাতা দেওয়া হয়েছে। এতে তারা প্রায় ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় পাচ্ছে। এ বছর ১০টি শিক্ষা বোর্ডের ৩ হাজার ২৩৬টি কেন্দ্রে ২৮ হাজার ৩৪৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯ লাখ ১০ হাজার ৫০১ জন ছাত্র ও ৮ লাখ ৭৬ হাজার ১১২ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এবার আট বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে ১৪ লাখ ২৫ হাজার ৯০০ জন, মাদরাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৫০১ ও এসএসসি ভোকেশনালে (কারিগরি) এক লাখ ৪ হাজার ২১২ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।