Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুলাউড়ায় বাঁশ ও সুপারি গাছ দিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি!

৪ বছরে শিশুসহ ১০ জনের প্রাণহানি

| প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মো: মানজুরুল হক, কুলাউড়া থেকে : জেলার কুলাউড়া উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের ৪ ইউনিয়নের ৩৫টি গ্রামে পিডিবির আওতাধীন প্রায় ৫০ কিলোমিটার বিদ্যুৎলাইন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এর ফলে অধিকাংশ লাইনে খুঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে বাঁশ ও সুপারি গাছ। এছাড়াও ২৫০ কেভির একটি ট্রান্সফরমারে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বাঁশের উপর রাখা হয়েছে ফিউজ লাইন। একটু ঝড়-বৃষ্টি হলেই বিদ্যুৎহীন হয়ে যায় এসব এলাকা। প্রায়ই ঘটে কোনো না কোনো দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় গত ৪ বছরে শিশুসহ ১০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। পড়ে যাওয়া বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক গরু-মহিষ ও ছাগল মারা গেছে। এক যুগেও সংস্কার কাজ না হওয়ায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয় গ্রাহকদের মাঝে।  
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের হাসিমপুর, বাবনিয়া, বেরী, কোনাগাঁও, নোনা, নলডরী, মহিষমারা, কান্দীগাঁও, গুতুমপুর,রাঙ্গিছড়া বাজার, ফাড়ি বাগান, কালিটি চা-বাগান, রাউৎগাঁও ইউনিয়নের কবিরাজী, পালগ্রাম, রস্তুমপুর, সদর ইউনিয়নের গাজীপুর, হাসনপুর, প্রতাবী, বনগাঁও, বালিচিরি, গুতগুতি, লক্ষ্মীপুর, বনগাঁও (২),শংকরপুর, ঝিমাই পুঞ্জি,পৃথিমপাশা ইউনিয়নের পুরশাই গ্রামসহ প্রায় ৩৫ টি গ্রামে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎলাইন। গত ৪ বছরে শিশুসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। পঙ্গুত্ব বরণ করছে অর্ধশত মানুষ। সদর ইউনিয়নের পশ্চিম প্রতাবী গ্রামের একই পরিবারের কাশেম চৌধুরী (১২) ও কামিল চৌধুরী (৭) নাম দু’ভাই জমিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। ছেলে শোকে এখনও আর্তনাদ করছেন বাবা। লক্ষীপুর গ্রামের সুনু মিয়া (৪৫), আইন উল্লাহর মেয়ে মুমিনা বেগম (২২) এবং কর্মধা গ্রামের হায়দর আলীর স্ত্রী আজিরুন বেগম (৩৫) ছেড়া তারে স্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন। এছাড়া বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রায় শতাধিক গরু-মহিষ ও ছাগলের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দাদের মধ্যে অধ্যক্ষ মুফতি আহসান উদ্দীন, শিক্ষক অজয় দেব, পারভেজ হোসেন ভূইয়া, ব্যবসায়ী আব্দুল মতিন, হেলাল আহমদ, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রসময় দেব নাথ,শিক্ষার্থী পল্লবী দাস, সুজিতা রানী দেব, পঞ্চমী রাণী দেব ক্ষোভের প্রকাশ করে বলেন,দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় থেকে আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ঝুঁকিপূর্ণ ওই বিদ্যুৎলাইনগুলো মেরামতের দাবি জানিয়ে আসলেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রদক্ষেপ নেয়নি বিদ্যুৎ বিভাগ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ