Inqilab Logo

সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪, ১০ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ইটিপি ছাড়া ডাইং কারখানা চালু থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে -পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা : পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব বলেছন, আমরা একটি দূষণমুক্ত পরিবেশবান্ধব দেশ চাই। বুড়িগঙ্গাসহ আশপাশের নদীগুলোর দূষণরোধে ইটিপি ছাড়া কোনো ডাইং কারখানা থাকতে দেয়া হবে না। কেরানীগঞ্জে যেসব ওয়াশিং ও ডাইং কারখানা রয়েছে সেগুলোর বেশির ভাগ কারখানার ইটিপি নেই। যারা নির্দেশ মানবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখানে বেশ কয়েকটি ওয়াশিং ও ডাইং কারখানা সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। গতকাল (বুধবার) দুপুরে কেরানীগঞ্জের কদমতলী ও আগানগর এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো: আলমগীর, কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, পরিবেশ অধিদফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোকসানা রহমান, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ভ‚মি সার্কেল সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিউলী রহমান তিন্নী, উপজেলা বন কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন, পরিবেশ অধিদফতরের পরিদর্শক মিহির লাল সরকার প্রমুখ।। পরে মন্ত্রী রাজু কুটির নামে একটি জিআই তার কারখানা ও মায়ের দোয়া ডাইং, আহম্মেদ ওয়াশিং, বিসমিল্লাহ ওয়াশিং, সায়মা ওয়াশিং, গেøাবাল ওয়াশিং ও নূর ডাইংসহ বেশ কয়েকটি কারখানা সিলগালা করে দিয়ে সেগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার নির্দেশ দেন। পরে উপমন্ত্রী শুভাঢ্যা খাল পরিদর্শন করেন। এদিকে মন্ত্রী নিজেই সকালে পরিবেশ রক্ষার্থে দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি ২০১৩ সালের ইট প্রস্তুত ও ভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন না মানার অভিযোগে এনবিএম ব্রিকস, ডায়মন্ড ব্রিকস ও জেপিএন ব্রিকসসহ ৪টি ইটভাটা বন্ধ করে দিয়ে সেগুলো ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। পরে ইটভাটা ৪টি ভেঙে সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। অন্যদিকে ভেঙে দেয়া দুটি ইটভাটার মালিক তেঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো: জজ মিয়া বলেন, আমি আইনকে শ্রদ্ধা করি। আমার ইটভাটাগুলোকে ভেঙে ফেলার জন্য আমাকে কোনো নোটিশ দেয়া হয়নি। আমি ইটভাটাগুলোর জন্য সরকারকে এ বছরও প্রায় ৫ লক্ষ টাকা কর দিয়েছি। আমাকে ইটভাটা সরিয়ে দেয়ার সময় দিলে আমি সহজেই ভাটা অন্যত্র সরিয়ে নিতে পারতাম। এই ইটের মৌসুমে আমার ভাটা ভেঙে দেয়ায় আমি কয়েক কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হলাম। অপরদিকে একই কারণে কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদের বড় ভাই মো: ফারুখ হোসেনের ইটভাটাটি  ভেঙে না ফেলায় মন্ত্রীর এই দ্বৈত ভ‚মিকা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ