Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হবিগঞ্জে স্কুলছাত্র তৌকির হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

| প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

হবিগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা ঃ হবিগঞ্জের আলোচিত স্কুলছাত্র তৌকির হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন আদালত। এ সময় অপর ৮ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাফরোজা পারভীন এ রায় দেন। দ-প্রাপ্তরা হলেন, শহরের শ্যামলী এলাকার হিরাজ মিয়ার ছেলে হেলাল উদ্দিন তুর্কি (১৮), নাতিরাবাদ এলাকার নানু মিয়ার ছেলে রনি (১৯), ইনাতাবাদ এলাকার ইদু মিয়ার ছেলে সাদ্দাম (১৮) ও একই এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে নিয়াজ (১৫) এবং নাতিরাবাদ এলাকার সিদ্দিক মিয়ার ছেলে আক্তার মিয়া (২০)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, শহরের ইনাতাবাদ এলাকার বাসিন্দা আব্দুল বারিকের ছেলে হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র কায়েছ আহমেদ তৌকিরের কাছে আসামিদের কয়েকজন বিভিন্ন সময় টাকা দাবি করত। অনেক সময় তারা টাকা ছিনিয়েও নিতো। ২০০৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ঈদ উপলক্ষে বাণিজ্যিক এলাকার একটি মার্কেটে কেনাকাটা করতে যায় তৌকির। এ সময় আসামিদের কয়েকজন তার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা দাবি করে। সে উক্ত টাকা দিতে অস্বীকার করে বিষয়টি তার বাবাকে জানায়। তিনি তাদের অভিভাবকদের বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেন।
এতে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরে ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে তার সহপাঠী নিয়াজ মোবাইল ফোনে তাকে হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের গেটে যেতে বলে। বন্ধুর ফোন পেয়ে তৌকির রিকশাযোগে হবিগঞ্জ সরকারি বিদ্যালয়ের কাছে তিনকোণা পুকুরপাড় এলাকায় পৌঁছলে রনি ও হেলাল উদ্দিন তুর্কি তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এ সময় তাদের সহযোগিতা করে আক্তার মিয়া। এতে তৌকির গুরুতর আহত হলে প্রথমে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল ও পরে ঢাকায় নেয়ার পথে রাত ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুল বারিক বাদী হয়ে ১২ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্তকালে এজাহারভুক্ত জিয়াউর রহমান নামে একজনকে বাদ দিয়ে আরও দুইজনকে সংযুক্ত করে মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। তাদের মাঝে রনি, তুর্কি ও সাদ্দাম ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে। অপর আসামি ইদু মিয়া, আক্তার মিয়া, মোশাররফ, নিয়াজ, উজ্জল, শাহনুর, আব্দুল গফুর, নানু মিয়া, টিটু ওরফে তাহির আলী ও রিপন আহমেদ বিভিন্ন সময় গ্রেফতার হয়ে কারাভোগ করেন। পরে তারা জামিনে মুক্তি পান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ