রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
আমতলী (বরগুনা) উপজেলা সংবাদদাতা : তালতলী উপজেলার আবু ছালেহ হত্যামামলায় দুই সিআইডি কর্মকর্তার দুই ধরনের রিপোর্টের কারণে ৪ জন নিরীহ দিনমজুরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ২০১৪ সালের ৯ জুন তালতলী উপজেলার চন্দনতলা গ্রামের হাবিব মুন্সীর ছেলে আবু ছালেহ (৩৫) বড়ভাই মস্তফার হাতে খুন হয়। বড়ভাই মস্তফা মুন্সীর স্ত্রী ১ সন্তানের জননী নাজমার সাথে আবু ছালেহর দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ যৌন সম্পর্ক থাকার জের ধরে হাতেনাতে ধরা পড়ার সময় মস্তফা মুন্সীর হাতে ছোটভাই আবু ছালেহ খুন হয়। খুন হওয়ার ৩ দিন পর আবু ছালের অপর বড় ভাই মতি মুন্সী বাদি হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে তালতলী থানায় হত্যামামলা দায়ের করে। ১ ও ৭ নং আসামিদের সাথে গরুর ব্যবসা করার ঘটনা এবং ৩ নং আসামির সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ থাকার ঘটনা সত্য। অন্যান্য আসামিরা ৩নং আসামির বাড়িতে দিনমজুর খাটে এবং রাতে খালে-বিলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। খুনের ঘটনার রাতে ২ নং আসামি তার স্ত্রীকে নিয়ে আবু ছালেহদের বাড়ির পেছনে খালে জাল দিয়ে মাছ ধরছিল। খুনের ঘটনা তারা প্রত্যক্ষ করেছিল এবং ঘটনার পর পুলিশ এলে ওসির কাছে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছিল আমেনা বেগম। বাদি মতি মুন্সী নিজেরা জড়িয়ে পড়ার ভয়ে আসল ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে এদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এ মিথ্যা মামলার হাত থেকে বাঁচার জন্য ২ নং আসামির স্ত্রী আমেনা বেগম সত্য ঘটনার বিবরণ দিয়ে আমতলী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে অপর একটি হত্যামামলা দায়ের করে এই মামলার প্রকৃত খুনি মস্তফা মুন্সী এবং বাদি মতি মুন্সী, ইদ্রিস হাং ও নিজাম হাং-কে আসামি করে। বিগত ২২ জুন ২০১৪ তারিখ আমতলী ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা করে। যার মামলা নং ২৯৯/২০১৪। পরে হত্যামামলাটি সিআইডি বরগুনার হাতে তদন্তের জন্য হস্তান্তরিত হলে সিআইডি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম গরুর ব্যবসায়ী, ধানের ব্যবসায়ী ইত্যাদি সেজে বেশ কয়েকবার সরেজমিন তদন্ত করে প্রকৃত খুনি মস্তফা মুন্সী ও তার সহযোগী ইদ্রিসকে গ্রেফতার করেন। তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে খুনের প্রকৃত ঘটনা জানতে পারেন যা অপর মামলার বাদি আমেনা বেগমের মামলার বিবরণের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ (হুবহু মিল)। কিন্তু প্রকৃত খুনিরা প্রভূত ধন-সম্পদ ও প্রভাব প্রতিপত্তিশালী হওয়ায় খুনের প্রকৃত ঘটনার মোড় অন্য খাতে প্রবাহিত করার হীনষড়যন্ত্র করে বরগুনা সিআইডি কর্মকর্তাকে সরিয়ে পিরোজপুর জেলার এক সিআইডি কর্মকর্তার উপর তদন্তভার হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া হাসিল করেন। শেষোক্ত সিআইডি কর্মকর্তাকে বশীভূত করে পূর্ণ সরেজমিন তদন্ত ছাড়াই প্রতিবেদন দাখিল করাতে সক্ষম হন। এতে ৪ জন নিরীহ দিনমজুরকে জড়িয়ে অভিযোগপত্রে তিনি কোনো সাক্ষী-প্রমান পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করেছেন। অথচ ইতিপূর্বে বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ১৬৪ ধারা মতে ২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছিল। আরো অনেক কিছু আড়াল করে প্রতিবেদন দাখিল করায় প্রকৃত খুনিরা রেহাই পেয়ে গেছেন। এদের মধ্যে ১ জন প্রথম মামলার বাদি মতি মুন্সী গত ১৫ ডিসেম্বর ২০০০ তারিখ ছোটবগী বাজারে দিবালোকে সকালে ভারি কাঠের লাঠি দ্বারা রিকশাচালক শাহ আলম, পিতা-খোরশেদ মাতবর সাং গেরাখালী, পটুয়াখালীকে মাথায় আঘাত করলে রিকশাচালক হাসপাতালে যাওয়ার পথে মারা যায়। যার মামলা নং জিআর ২৬০/২০০০আম। সুকৌশলে মামলা থেকে রেহাই পান। অভিজ্ঞ মহল/ সচেতন মহলের মতামত হচ্ছে সিআইডি কর্মকর্তাদ্বয়ের পৃথক পৃথক প্রতিবেদন ২টি অন্যান্য সাক্ষ্য প্রমাণাদির ভিত্তিতে পর্যালোচনাপূর্বক সত্য ঘটনা উদঘাটন করে নিরীহ দিনমজুর ৪ জনকে অভিযোগ থেকে রেহাই দেয়া হোক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।