Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিক্ষক লাঞ্ছনার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ

| প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ)  উপজেলা সংবাদদাতা : ঈশ্বরগঞ্জে এক শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনার বিচার দাবিতে গতকাল বুধবার বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে মাদ্রসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। গত মঙ্গলবার ম্যানেজিং কমিটির সাবেক এক সদস্য হাটুলিয়া এএইচবি দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক নুরুল ইসলামকে লাঞ্ছিত করেন। জানা যায়, উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নের হাটুলিয়া দারুসুন্নাহ এএইচবি দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোস্তফা কামাল, ইবতেদায়ী মৌলভী কুতুব উদ্দিন, সহকারী মৌলভী খোদেজা খাতুন ও হুসনে আরার বিরুদ্ধে সনদ ও নিবন্ধন জালের অভিযোগ করেন মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ফরিদ উদ্দিন ভূঁইয়া। বিষয়টি নিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষক অধিদপ্তরের পরিদর্শক ইমন আমীর মঙ্গলবার তদন্তে আসেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে তদন্তে সাক্ষী দিতে আসা ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য সেলিম জাহান শিক্ষকদের উদ্দেশে আপত্তিকর মন্তব্য করতে থাকেন। স্থানীয় আ.লীগের সেলিম জাহানের প্রভাব খাটিয়ে প্রথম থেকেই শিক্ষকদের ওপর চড়াও হয়ে উত্তপ্ত মন্তব্য করছিলো বলে জানান উপস্থিত থাকা অন্য শিক্ষকরা। এক পর্যায়ে সেলিম জাহান মাদ্রসারা ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক মো. নুরুল ইসলামের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে সেলিম জাহান শিক্ষককে মারতে তেড়ে যান। ক্ষুব্ধ সেলিমকে অন্য শিক্ষকরা নিভৃত করলেও শিক্ষক নুরুল ইসলাম ওই পরিস্থিতিতে হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে সাথে সাথে নুরুল ইসলামকে ঈশ^রগঞ্জ হাসপাতালে আনা হয়। কিন্তু আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে শিক্ষক নুরুল ইসলামকে লাঞ্ছনার ঘটনায় গতকাল বুধবার মাদ্রাসাটির শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে মাদ্রাসায় বিক্ষোভ শুরু করে। শিক্ষার্থীরা সেলিম জাহান ও মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ফরিদ উদ্দিন ভূঁইয়ার বিচার দাবি করেন। পরে ঈশ^রগঞ্জ সোহাগী সড়কে শিক্ষার্থীরা প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচি শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মাদ্রাসার সুপার মোস্তফা কামাল অভিযুক্তদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। ওই সময় ঈশ^রগঞ্জ থানার ওসি বদরুল আলম খান অভিযুক্তদের সুষ্ঠু বিচারের ব্যবস্থা করার আশ^াস দেন। শিক্ষকদের লাঞ্ছনার অভিযোগ অস্বীকার করে সেলিম জাহান বলেন, তদন্তে কাজে সহযোগিতা করার জন্য স্বাক্ষ্য দিতে মাদ্রাসায় যান। কিন্তু মাদ্রাসা থেকে আসার পর জানতে পারেন এক শিক্ষক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। হাটুলিয়া মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কাজী আবদুল আজিজ জানান, সেলিম জাহানের মারমুখি আচরণে শিক্ষক নুরুল ইসলাম সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের জন্য যা করা দরকার সব তারা করবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ