Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দালালচক্র হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা

| প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

শ্রীপুর (গাজীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের যোগিরছিট এলাকায় সরকারি মাস্টারপ্ল্যানের অন্তর্ভুক্ত বিদ্যুৎ লাইন নিয়ে সক্রিয় দালালচক্র। এই চক্রটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রাপ্য বিদ্যুৎ লাইন থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অভিযোগ দায়েরের পরও ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে যোগিরছিট এলাকার মৃত রুস্তম আলীর পুত্র মোহাম্মদ আলী পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর জেনারেল ম্যানেজার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে জানা যায়, বর্তমান সরকার তৃণমূলে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দিতে স্থানীয় সাংসদ আলহাজ অ্যাড. রহমত আলীর ডিও লেটারের প্রেক্ষিতে মেজর মতিউর রহমানের বাড়ি থেকে মোহাম্মদ আলীর বাড়ি পর্যন্ত ১.৭ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। পরবর্তীতে ওই লাইন নির্মাণের জন্য ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ ঠিকাদার নিয়োগ করে। এ সময় একটি চক্র ওই লাইনের নির্মাণ বাবদ সংযোগ প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলতে তৎপর হয়ে উঠে। তারা গ্রাহকপ্রতি ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা উত্তোলন করে। অভিযোগে আরো জানা যায়, ফজলুল হক, আফাজ উদ্দিন, হক মিয়াসহ আরো কয়েকজন ও ভালুকার ঠিকাদার আরশ এন্টারপ্রাইজের মালিক ফয়েজ হোসেন খান মিশুর সমন্বয়ে টাকা উত্তোলন করেন। ফয়েজ হোসেন খান মিশু ভালুকা উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সদস্য আবুল হোসেন খান মিলনের ছেলে। যোগিরছিট গ্রামের বিদ্যুৎ সংযোগ প্রার্থী সাবিনা জানান, তিনি অভিযুক্ত ফজলুল হকের কাছে ২ হাজার টাকা প্রদান করে। পরবর্তীতে আরো ৫ হাজার টাকা দিতে ৭ দিনের সময় বেঁধে দেন, না দিলে বিদ্যুৎ লাইন দেয়া হবে না বলে হুমকি দেয়। স্থানীয় রহিম উদ্দিন জানান, তিনিও আপাতত ৪ হাজার টাকা প্রদান করেন। গৃহবধূ রহিমা জানান, তিনি বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য তার ছাগল বিক্রি করে দালালদের হাতে ৫ হাজার টাকা দিয়েছেন। অভিযুক্ত ফজলুল হক টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তিনি লাইন নির্মাণ বাবদ ১ লাখ টাকা উত্তোলন করে ঠিকাদার মিশুকে দিয়েছেন। এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে ঠিকাদার মিশুর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড সদস্য মোমিনুল কাদের জানান, এই লাইন বাবদ অবৈধভাবে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে বলে তিনি জেনেছেন। এধরনের অপরাধের শাস্তি হওয়া উচিত। বিষয়টি নিয়ে তিনি স্থানীয়ভাবে বসবেন বলেও জানান। ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর জেনারেল ম্যানেজার জহিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগ পেয়েছি, অবৈধভাবে টাকা উত্তোলন করে থাকলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ