Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বদলে গেছে দুই লাখ মানুষের জীবনযাত্রা

রাঙ্গুনিয়ার শিলক খালের ওপর নির্মিত ৫ ব্রিজ

| প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নুরুল আবছার চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে : আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যরকম মাইলফলক শিলক খালের ওপর নির্মিত পাঁচ সেতু। ২ লাখ জনগোষ্ঠীর মেল বন্ধনের অন্যন্য রকম এক মাইলফলক। বিগত বিএনপির জোট সরকরের আমলে রাজারহাট দক্ষিণ খেলার মাঠ সংলগ্ন খুরুশিয়া আব্দুল হামিদ সড়কে শিলক খালের ওপর ৮০.০৭ মিটার দীর্ঘ গার্ডার ব্রিজ এবং সরফভাটা শিলক সংযোগ দীর্ঘ ১০০ মিটারের লম্বা ব্রিজ দু’টি ভিত্তিস্থাপন ও খুঁটি পাইলিংয়ের কাজ হলেও প্রকল্পের প্রায় ১৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ হওয়ায় দীর্ঘ একযুগের সময় প্রধান গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ দু’টি অবহেলায় পড়ে থাকে। ২০০৮ সালে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর, সেই পরে থাকা ব্রিজ দু’টি সাবেক পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ডক্টর হাছান মাহমুদ এমপি নেতৃত্বে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ায় অভূতপূর্ব রাস্তা ও ব্রিজ নির্মাণের ব্যাপক সোচ্ছার হোন। যার সুবাধে প্রথমে সরফভাটা শিলক সংযোগ সড়কের শিলক খালের ওপর নির্মিত ও রাজারহাট দক্ষিণ খেলার মাঠ সংলগ্ন খুরুশিয়া আব্দুল হামিদ সড়কে শিলক খালের ওপর বন্ধ হয়ে যাওয়া ব্রিজ দু’টি পুনরায় নির্মাণ শুরু করেন। এই ব্রিজ দু’টি নির্মাণের সাথে আরো ৩টি ব্রিজ স্থাপন করে যার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হচ্ছে-চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া কালিন্দিরানী সড়কের দশ কিলোমিটার এ নির্মিত ব্রিজটি অন্যতম। ব্রাক্ষণঘাটা থেকে রাজারহাট সংযোগ সড়কের শিলক খালের ওপর ১১২.৬০ মিটারের দীর্ঘ এডভোকেট নুরুচ্ছাফা তালুকদার সড়কে ব্রিজটি নির্মাণের মাধ্যমে লক্ষাধিক লোকের বসতিপূর্ণ পদুয়া ইউনিয়নের ভাগ্য বদলে যায়। এ ব্রিজটি স্থাপনের পর লাখ মানুষের মিলনক্ষেত্র হিসেবে খ্যাত অর্জন করে রাজারহাট ব্রিজটি। এই ব্রিজটিকে কেন্দ্র করে বর্তমানে রাজারহাট একটি বিনোদন কেন্দ্র রূপান্তরিত হয়েছে। ব্রিজের দু’পাশে রঙ-বেরঙ এর পিলারের সজ্জিত নদীর তীরে বিনোদনের কেন্দ্র পার্ক ও এলাকার বিনোদন পিপাসুদের জন্য বসানো হয়েছে ১৫-২০টি বৈঠক-সালা। ব্রিজের দু’পাশে লাগানো হয়েছে সারিবদ্ধ চোখ ধাঁধাঁনো সোডিয়াম লাইট। পুরো বৃষ্টিকে ঘিরে সন্ধ্যার পর মনে হয় এ যেন এক স্বপ্নপুরী প্রাচ্যের কোন উপ রাজধানী-যার সাথে প্রকৃতি এক অভূতপূর্ব মেলবন্ধন। এককথায় পদুয়া এমন নগরায়ন যেমন হয়েছে তা অতীতের কথা চিন্তা করলে বিশ্বাস যোগ্য হবে না। রাঙ্গুনিয়ার দক্ষিণাঞ্চল তথা পদুয়া ইউনিয়ন জুড়ে একসময় ছিল ভয়াবহ সন্ত্রাসী জনপদ। গ্রুপ, উপ-গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দেশীয় ও বহুজাতিক সন্ত্রাসীর ভয়ে যেখানে মানুষ ছিল ভয়ংকর আতঙ্কে, অস্ত্রের ঝন-ঝনানী ও অপহরণের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায় চলত বছরের পর বছর। যার স্বাভাবিক কারণে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ার কারণে এলাকা ছেড়েছিল বহু পরিবার। আর সেই জনপদে আজ শান্তি ও সুখসমৃদ্ধি এমনকি সামগ্রিক উন্নয়নের ছোঁয়ায় অর্থনৈতিক উন্নতি এসেছে প্রতিটি ঘরে ঘরে। আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে প্রত্যেক মানুষের মনে। তাছাড়াও উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে ডক্টর হাছান মাহমুদ এমপির গতিশীল নেতৃত্বে ২০১২-১৩ সালের দিকে আরো দু’টি ব্রিজ যার মধ্যে একটি জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় ফলহারিয়া ও সুখবিলাস গ্রাম সংযোগকল্প শিলক খালের ওপর ফুটব্রিজ। অপরটি হচ্ছে পদুয়া সাপলেজা পাড়া তথা নারিশ্চা হরিহর সংযোগ শিলক খালের ওপর ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত দীর্ঘ ৫০ মিটার ব্রিজটি। দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার যোগাযোগের প্রধান সমস্যা-শিলক খালের ওপর বর্তমানের আওয়ামী লীগ সরকার ৫টি ব্রিজ নির্মাণের আদলে বদলে দিয়েছে ২ লাখ মানুষের উন্নত জীবন ব্যবস্থা। প্রতিটি মানুষের মধ্যে আর্থিক স্বচ্ছতা এসেছে এবং স্থানীয় উৎপাদিত কৃষিপণ্য সহজেই পরিবহন করতে পারায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছে প্রকৃত ন্যায্যমূল্য পেয়ে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ