বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আব্দুল্লাহ আল ফারুক ইবি থেকে : পরীক্ষার রেজাল্ট দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক বিভাগে তালা দিয়েছে ওই বিভাগের ভুক্তভুগি শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা সভাপতির কক্ষে তালা লাগিয়ে দেয় বলে জানা যায়। এ সময় বিভাগীয় সভাপতি ড. জাহাঙ্গীর হোসেনসহ আরো ২-৩ শিক্ষক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পরে বিভাগীয় সভাপতি ও পরীক্ষা কমিটির সভাপতিরা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রেজাল্ট দেয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে।
বিভাগীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ প্রথম বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ হয়েছে গত বছরের ৩১ মার্চ, ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষ তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা শেষ হয়েছে গত ৩ সেপ্টেম্বর এবং ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষ চতুর্থবর্ষের পরীক্ষা শেষ হয়েছে গত ৩ অক্টোবর। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১০ মাস পরেও পরীক্ষার রেজাল্ট না পাওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষবর্ষের শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা বিভাগীয় সভাপতির রুমে তালা লাগিয়ে আন্দোলন শুরু করে। পরে তাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে আন্দোলনে যোগ দেয় বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের ভুক্তভুগি শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেনসহ আরো ২-৩ জন শিক্ষক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পরে বিভাগীয় সভাপতি প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন পরীক্ষা কমিটির সভাপতিদের সাথে কথা বলে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রেজাল্ট দেয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে।
এদিকে পরীক্ষার রেজাল্ট দিতে বিলম্ব হওয়ার কারণ অনুসন্ধান করতে গেলে উঠে আসে বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক প্রফেসর ড. রুহুল কে এম সালেহের নাম। জানা গেছে, তার কারণে সকল বর্ষের পরীক্ষার রেজাল্ট আটকে আছে। তিনি তার কোন বর্ষের খাতা মূল্যায়ন করে পরীক্ষা কমিটির কাছে জমা দেননি। তার কারণের রেজাল্ট দিতে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্ব-স্ব পরীক্ষা কমিটির সভাপতিরা। ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ প্রথমবর্ষের লিখিত পরীক্ষা গত ২১ ডিসেম্বর শেষ হলেও এখনো পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ড. সালেহ। তিনি বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে বার বার মৌখিক পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।