রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা : পাওনা টাকা চাওয়ায় জন্য খুন হয়েছেন টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার শালিয়াজানি গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আঃ ছামাদ। নিখোঁজের এক দিন পর গত ১৪ জানুয়ারি শনিবার সকালে উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে কমলের বেত বন থেকে ছামাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ মিনারা বেগম (২৫) ও জয়নাল আবেদীন (৩৫) নামে দুই জনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঘাটাইল উপজেলার শালিয়াজানি গ্রামের মৃত ফজর আলীর ছেলে আঃ ছামাদ (৫০)। পেশায় একজন মাছ ব্যাবসায়ী। পুকুর লিজ নিয়ে মাছের ব্যবসা করত এবং মুনাফার টাকা ধারের ব্যবসাও করত। গত ১৩ জানুয়ারি শুক্রবার ফজরের পর থেকে সে নিখোঁজ হয়। তারপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজাখোঁজির এক পর্যায়ে পরদিন শনিবার সকালে উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের কমলের বেত বন থেকে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় আঃ ছামাদের লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার দিনই নিহতের ছেলে সুমন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ঘাটাইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার আসামিরা হলো- আয়নাল হক (৩১), মোঃ তামিল (২৫), মামুন (৩৫), মোঃ রেজাউল (৩৬), জব্বর আলী (৩৫)। জব্বর আলী বাদে এদের সকলের বাড়ি উপজেলার হাড়বাড়ি গ্রামে। নিহতের ছেলে সুমমন মিয়া জানান, ঘটনার এক সপ্তাহ আগে আমার পিতা আসামি আয়নাল হকের কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে টাকা না দিয়ে আয়নাল মামুন ও তামিলকে দিয়ে আমার পিতাকে খুন জখমের হুমকি দেয়। আমার পিতার হত্যার পর থেকেই তারা এলাকাছাড়া। আমার ধারণা পাওনা টাকা চাওয়ার কারণে আমার বাবাকে পরিকল্পিতভাবে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করেছে এবং তার একটি চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে। আমাদের ধারণা ঘটনার দিন হত্যার উদ্দেশ্যে আসামিরা সুকমলের মুরগির খামারে ঢেকে নেয় আমার বাবাকে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আঃ মান্নান জানান, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিয়োগে সুকমলের মুরগির খামারের কর্মচারী মিনারা বেগম ও জয়নাল আবেদীন নামে দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের ধরে হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে। মামলার তদন্ত চলছে দ্রুতই ছামাদ হত্যার রহস্য উদঘাটিত হবে বলে আশা করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।