Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

একজন সংগ্রামী নারীর সাফল্য গাথা

প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ৯:৪৫ পিএম, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৭

এম এ কুদ্দুস, বিরল (দিনাজপুর) থেকে : বিরলের কাজিপাড়া গ্রামের একজন সফল নারী কৃষক লুৎফা খাতুন জীবন সংগ্রামে এগিয়ে চলছেন। তিনি একাধারে একজন সফল গৃহিণী, একজন সফল মা ও একজন সফল নারী কৃষক। তার স্বামী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অবসর গ্রহণের পর থেকেই অসুস্থ এবং সয্যাশায়ী। তিনি স্বামীর নিবিড় পরিচর্যার পাশাপাশি নিজেই পোল্ট্রি খামারে মুরগীর ডিম সংগ্রহ, নিজস্ব মৌখামারে মধু আহরণ ও প্রায় ৬ একর জমিতে রোপণ করেছেন ৩ শতাধিক লিচু এবং ১ শতাধিক আম গাছ। এছাড়া তিনি সফলতার সাথে ৩ পুত্র ও ৪ কন্যাকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলেছেন। তার বড় ছেলে কাজিপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (বিএসসি), মেঝ ছেলে সেতাবগঞ্জ চিনিকলের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা, ছোট ছেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন, বড় মেয়ে একজন সফল গৃহিণী, মেঝ মেয়ে বিরল দারুস সুন্নাত আলিম মাদ্রাসার কম্পিউটার শিক্ষক ও ছোট মেয়ে এমএ পাস করে চাকুরী প্রত্যাশী। তিনি লিচু বাগান হতে বার্ষিক ৭ লক্ষাধিক টাকা, আম বাগান থেকে বার্ষিক অর্ধলক্ষাধিক টাকা, মৌচাষ থেকে লিচু ও সরিষা মৌসুমে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ কেজি মধুর মাধ্যমে বার্ষিক প্রায় ৬৫ হাজার টাকা আয় এবং পোল্ট্রি খামার থেকে প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার ডিম উৎপাদন করছেন। ছেলেমেয়েরা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত থাকায় শ্রমিকদের সাথে তিনি অনব্রতভাবে কৃষিকাজে পরিশ্রম করে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রেখে চলেছেন। তার এই অভূতপূর্ব সাফল্য দেখে এলাকার অন্যান্য নারীরা তাঁকে মডেল হিসাবে গ্রহণ করে কৃষি কাজে ঝুঁকছেন। লুৎফা খাতুন জানান, তাঁর পিতা মরহুম নূরুল ইসলাম একজন সফল কৃষক ছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থা থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে তিনি কাজিপাড়া গ্রামে আধুনিক চাষাবাদে এলাকায় সুনাম অর্জন করেছিলেন। এ জন্য তার পিতা ১৭ মার্চ ১৯৭৫ তৎকালীণ কৃষিমন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদ কর্তৃক বঙ্গভবনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু পুরস্কার ১৯৭৪ প্রাপ্ত হয়েছিলেন। তিনি পিতার সেই বিচক্ষণ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি ক্ষেত্রের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় কৃষি কাজে আত্মনিয়োগ করেছেন বলে জানান। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আশরাফুল আলম জানান, লুৎফা খাতুনকে উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ হতে নিয়মিত দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়। তিনি লিচু বা আম বাগানে কখন কোন সময়ে কিভাবে পরিচর্যা করতে হয় এবং উন্নত পদ্ধতিতে কিভাবে অধিক উৎপাদন করা যায় এসব বিষয়ে বেশ আগ্রহী।



 

Show all comments
  • ৩১ জানুয়ারি, ২০১৭, ৪:৩৩ পিএম says : 0
    Really ai rakom ma if are have every failyte take tahole noproblem. thanks to mother.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ