Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ইবিতে পরীক্ষার রেজাল্ট দাবিতে ইতিহাস বিভাগে তালা : বিভাগীয় সভাপতি অবরুদ্ধ

ইবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ জানুয়ারি, ২০১৭, ৫:৫০ পিএম

পরীক্ষার রেজাল্ট দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক বিভাগে তালা দিয়েছে ওই বিভাগের ভূক্তভুগি শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা সভাপতির কক্ষে তালা লাগিয়ে দেয় বলে জানা যায়। এসময় বিভাগীয় সভাপতি ড.জাহাঙ্গীর হোসেনসহ আরো ২-৩ শিক্ষক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে বিভাগীয় সভাপতি ও পরীক্ষা কমিটির সভাপতিরা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রেজাল্ট দেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে। এদিকে পরীক্ষার রেজাল্ট দিতে বিলম্ব হওয়ার কারণ অনুসন্ধান করতে গেলে উঠে আসে বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক ড. সালেহের নাম। তার কারনের রেজাল্ট দিতে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্ব স্ব পরীক্ষা কমিটির সভাপতিরা।

বিভাগীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ প্রথম বর্ষের চুড়ান্ত পরীক্ষা শেষ হয়েছে গত বছরের ৩১ মার্চ, ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষ তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা শেষ হয়েছে গত ৩ সেপ্টেম্বর এবং ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষ চতুর্থবর্ষের পরীক্ষা শেষ হয়েছে গত ৩ অক্টোবর। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১০ মাস পরেও পরীক্ষার রেজাল্ট না পাওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষবর্ষের শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা বিভাগীয় সভাপতির রুমে তালা লাগিয়ে আন্দোলন শুরু করে। পরে তাদের সাথে একত্ত্বতা ঘোষনা করে আন্দোলনে যোগ বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের ভূক্তভুগি শিক্ষার্থীরা। এসময় বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেনসহ আরো ২-৩ জন শিক্ষক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে বিভাগীয় সভাপতি প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন পরীক্ষা কমিটির সভাপতিদের সাথে কথা বলে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রেজাল্ট দেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে।
এদিকে পরীক্ষার রেজাল্ট দিতে বিলম্ব হওয়ার কারণ অনুসন্ধান করতে গেলে উঠে আসে বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক প্রফেসর ড. রুহুল কে এম সালেহের নাম। জানা গেছে, তার কারণে সকল বর্ষের পরীক্ষার রেজাল্ট আটকে আছে। তিনি তার কোন বর্ষের খাতা মূল্যায়ন করে পরীক্ষা কমিটির কাছে জমা দেননি। তার কারনের রেজাল্ট দিতে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্ব স্ব পরীক্ষা কমিটির সভাপতিরা। ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ প্রথমবর্ষের লিখিত পরীক্ষা গত ২১ ডিসেম্বর শেষ হলেও এখনো পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ড. সালেহ। তিনি বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে বার বার মৌখিক পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ড. সালেহ তার খাতা জমা না দেওয়ার কারণে বিড়ম্বনায় পড়ছে বিভাগের অন্য শিক্ষকরা। নাম প্রকাশ না করা শর্তে বিভাগের একজন শিক্ষক বলেন, তিনি পরীক্ষার খাতা নিলে তা সহজে জমা দেন না। প্রতি বর্ষে তিনি একই কাজ করে থাকেন বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই শিক্ষক। তার খাতা জমা না দেওয়ার ফলে, ২০১৪-১৫ শিক্ষবর্ষের দ্বিতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার সময়সূচি ৩-৪ বার পরিবর্তন হয়েছে এবং তাদের রেজাল্ট না হওয়ায় ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষাও আটকে আছে বলে জানা গেছে। তাছাড়া চতুর্থবর্ষের পরীক্ষার রেজাল্ট না হওয়ায় ওই বর্ষের শিক্ষার্থীরা কোন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে পারছে না বলে জানিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
এবিষয়ে ড. রুহুল কে এম সালেহর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ব্যবহারিত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এবিষয়ে বিভাগীয় সভাপতি ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন,‘বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষার রেজাল্টের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করলে আমি স্ব স্ব পরীক্ষা কমিটির সভাপতির সাথে কথা বলে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রেজাল্ট দেওয়ার আশ্বাস দিলে তারা চলে যায়।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ