Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রূপগঞ্জে এসআইয়ের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ

বালু ব্যবসায়ীকে আটক রেখে ২ লাখ টাকা দাবি

| প্রকাশের সময় : ৩০ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রূপগঞ্জ  উপজেলা সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জুলহাস দেওয়ান ওরফে ফরিদ নামে এক বালু ব্যবসায়ীকে আটক রেখে দুই লাখ টাকা দাবি করার অভিযোগে বদরুদ্দোজা মাহমুদ নামে এক পুলিশের এসআইয়ের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দাবিকৃত দুই লাখ টাকার মধ্যে এক লাখ টাকা পরিশোধ করলেও বাকি আরো এক লাখ টাকা না পেয়ে ওই ব্যবসায়ীকে ৩৪ ধারা মোতাবেক আদালতে প্রেরণ করেন। ভুক্তভোগী জুলহাস দেওয়ান ওরফে ফরিদ এ ব্যাপারে রোববার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জুলহাস দেওয়ান ওরফে ফরিদ জানান, তিনি রাজধানীর ডেমরা থানার সারুলিয়া এলাকার আবুল কাশেম মাস্টারের ছেলে। গত ১৯ জানুয়ারি রূপগঞ্জ উপজেলার বানিয়াদি এলাকার আত্মীয় আজমত আলী প্রধানের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ওই দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে জুলহাস দেওয়ান ওরফে ফরিদ তার ব্যবহৃত  মোটরসাইকেলযোগে মুড়াপাড়া শাহজাহানের খাবার হোটেলের কাছে পৌঁছামাত্র দুই ব্যক্তি এসে মোটরসাইকেলটির গতিরোধ করে। পরে তাকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায় মুড়াপাড়া ফেরিঘাটে। এরপর বলে বদরুদ্দোজা মাহমুদ স্যার আসছে বলে আটক রাখে ওই দুই ব্যক্তিকে।
এসময় বদরুদ্দোজা মাহমুদ এসে বলে জুলহাস দেওয়ান ওরফে ফরিদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, দুই লাখ টাকা দিলে ছেড়ে দেয়া হবে। অথচ জুলহাস দেওয়ান ওরফে ফরিদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না। তাৎক্ষণিক বিষয়টি তার মা জেবুন নেছা ও ভাই বাদল মিয়াকে বিষয়টি জানায়। বদরুদ্দোজা মাহমুদ-এর কাছে জিম্মি হয়ে মা জেবুন নেছা ধার-দেনা করে সোর্স হাসান ও সুজনের মাধ্যমে এক লাখ টাকা পরিশোধ করে। বাকি আরো এক লাখ টাকা পরিশোধ না করায় জুলহাস দেওয়ান ওরফে ফরিদকে ৩৪ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। এছাড়া মোটরসাইকেল, মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন রেখে দেয়। পরে তিনি বিজ্ঞ আদালত থেকে এসে বদরুদ্দোজা মাহমুদ-এর কাছে থাকা মোটরসাইকেল, মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন ফেরত চান জুলহাস দেওয়ান ওরফে ফরিদ। কিন্তু বদরুদ্দোজা মাহমুদের দাবিকৃত বাকি এক লাখ টাকা না দেয়া হলে কোনো কিছুই গচ্ছিত মালামাল ফেরত দেয়া হবে না সাফ জানিয়ে দেন। এ বিষয়ে বদরুদ্দোজা মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করেন।
এ  ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, এ ধরনের ঘটনা আমার জানা নেই। অভিযোগ আমার কাছে এলে তদন্ত মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ