Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ব্র্যাকের গবেষণা তথ্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণে নারীর অংশগ্রহণে আয় দ্বিগুণ বাড়ে

| প্রকাশের সময় : ৩০ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : দরিদ্র নারীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও দক্ষতামূলক কাজে সম্পৃক্ত করলে আয় প্রায় দ্বিগুণ বাড়ে। ২০১৪ সালে ১৪০০ জন নারীর ওপর পরিচালিত ব্র্যাক গবেষণা জরিপে দেখা যায়, যেসব নারীর গড় আয় ২ হাজার টাকা ছিল, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতামূলক কাজের কারণে ২০১৫ সালে তা বেড়ে গড়ে ৪ হাজার টাকায় উন্নীত হয়েছে। শুধু তাই নয়, অনেক নারী হয়েছেন সফল উদ্যোক্তা। আর অর্থনৈতিক সক্ষমতার বাড়ার ফলে পরিবার ও সমাজে তাদের গুরুত্ব অনেকটাই বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা।
গতকাল রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি: কেন জেন্ডার গুরুত্বপূর্ণ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ গবেষণা তথ্য তুলে ধরা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহযোগিতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক এ বৈঠকের আয়োজন করে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদা শারমীন বেনু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডেলিগেশন অফ দি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন টু বাংলাদেশ এর হিউম্যান অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট এর মিনিষ্টার কাউন্সিলর ইয়রগেন হেইম্যান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্র্যাকের অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেইঞ্জের পরিচালক কেএএম মোর্শেদ।
‘নারায়ণগঞ্জে দরিদ্র ও অবহেলিত নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা : প্রভাব ও মূল্যায়ন’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন ব্র্যাকের গবেষণা ও মূল্যায়ন বিভাগের ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট ইউনিটের সমন্বয়কারী অ্যান্ড্রু জেনকিন্স, একই বিভাগের রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট সাফায়েত খান ও রিসার্চ ফেলো ফাতেমা জহুরা খাতুন।
গবেষণা জরিপে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও, আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ- এই তিনটি উপজেলায় ব্র্যাক ২০১৩ সালে ৩৬শ’ অবহেলিত ও দুস্থ নারীকে নিয়ে এই প্রকল্প শুরু করে। সেখান থেকে দৈবচয়ন পদ্ধতিতে ১৪শ’ নারীর ওপর ২০১৪ সালে গবেষণা জরিপ শুরু করে। শেষ হয় ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে। এর মধ্যে ৭শ’ জন নারী ব্র্যাক থেকে পার্লার, সবজি চাষ, মোমবাতি তৈরি, কাটিং ও সেলাই কাজ এবং নার্সারিসহ বিভিন্ন কাজের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। আর ৭শ’ নারী কোনরকম প্রশিক্ষণই পায়নি।
গবেষণা বিশ্লেষণে দেখা যায়, যেসব নারী প্রশিক্ষণ পেয়েছেন তাদের ২০১৪ সালে আয়মূলক কর্মকা- ছিল ৩২ দশমিক ৪ শতাংশ, ২০১৫ সালে তা বেড়ে ৬১ দশমিক ৮ শতাংশ। আর যারা প্রশিক্ষণ পায়নি তাদের আয়মূলক অংশগ্রহণ ২০১৪ সালে ছিল ৩১ দশমিক ৪ শতাংশ, ২০১৫ সালে তা বেড়েছে মাত্র ৩৮ দশমিক ৪ শতাংশ।
গবেষণায় আরো বলা হয়, আয়মূলক কাজ ও আয় বাড়ার পাশাপাশি তাদের বাসার বাইরে গিয়ে চলা ফেরার স্বাধীনতা এক বছরে ৯ শতাংশ বেড়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই ও স্পেশাল প্রোগ্রাম বিভাগের মহাব্যবস্থাপক স্বপন কুমার রায়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প পরিচালক আবুল হোসেন, ব্র্যাকের জেন্ডার জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি কর্মসূচির সমন্বয়কারী খালেদা খানম প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ