পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে নাম চাওয়া ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় করলেও নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে শেষ পর্যন্ত এক ব্যক্তির ইচ্ছার প্রতিফল ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিএনপি। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, অতীতে নির্বাচন কমিশন নিয়ে যে সংলাপ হয়েছে, তার ফলাফল ছিল শূন্য। অতীতে অনুসন্ধান কমিটি বাটন ছিল প্রধানমন্ত্রীর হাতে।
গতকাল রোববার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন। তবে বিএনপি সার্চ কমিটির আহ্বানে সাড়া দিয়ে নাম প্রস্তাব করবে কি না, তা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রিজভী বলেন, অতীতে নির্বাচন কমিশন নিয়ে যে সংলাপ হয়েছে, তার ফলাফল ছিল শূন্য। সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করার সময় সংসদীয় কমিটি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, দেশের বিশিষ্ট নাগরিক, সংবিধান বিশেষজ্ঞসহ খ্যাতিমান আইনজীবীদের মতামত নেওয়া হয়েছিল। সে সময় আওয়ামী লীগের নেতা, সংসদ সদস্যসহ সবাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের বিপক্ষে মতামত দিয়েছিলেন। কিন্তু শুধু এক ব্যক্তির ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিল। একইভাবে বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রেও শুধু ওই এক ব্যক্তির ইচ্ছারই প্রতিফলন ঘটেছিল। এবারও একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংলাপের পরও একতরফাভাবে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে, পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনে যে এক ব্যক্তির ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে না, সেটির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়ার কোনো অবকাশ নেই।
রিজভী অভিযোগ করেন, যেভাবে সরকারের প্রভাবিত ও আওয়ামী মনোভাবাপন্ন লোকদের দিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে, তাতে তাঁদের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন হবে, সেটি নিয়ে জনমনে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। এই সার্চ কমিটি আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর ছায়াসঙ্গী, বর্তমান ভোটারবিহীন সরকারের বর্ধিত প্রকাশ।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা: রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিরোধীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গত শনিবারের বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের মন্ত্রীরা যেভাবে দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতা, বুদ্ধিজীবী ও পরিবেশবাদীদের সমালোচনা ও গালিগালাজ করছেন, তাতে তাঁদের এই বক্তব্য বিশ্বের স্বৈরশাসকদের বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি। রিজভী দাবি করেন, দেশের ৯৯ ভাগ মানুষ রামপালে বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের ঘোর বিরোধী। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যারা কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করেছিল, তারা এখন এ ধরনের পরিবেশ বিধ্বংসী প্রকল্প থেকে সরে আসতে শুরু করেছে। প্রতিবেশী দেশও তাদের দেশে এ ধরনের প্রকল্প স্থাপন করতে দেয়নি। অথচ শুধু ‘প্রভুদের’ মন রক্ষায় সুন্দরবন ধ্বংসকারী এই প্রকল্প সরকার গায়ের জোরে এবং বিশ্ব জনমতকে উপেক্ষা করে স্থাপন করতে যাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।