ইবি ভিসির অফিসে তালা, অডিও ক্লিপ বাজিয়ে আন্দোলন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের অডিও ফাঁসের ঘটনায় তৃতীয় দিনেও ভিসি
২৬ শে জানুয়ারি , প্রায় হাজার দুয়েক শিক্ষার্থী সবে মাত্র কলেজ গন্ডি ফেরিয়ে বড় আশা নিয়ে নৈসর্গিক লীলা ভূমি ক্ষ্যাত জাহাঙ্গীরনগর ক্যাম্পাসের ৭০০ একর সবুজ জায়গায় পদার্পন। ক্যাম্পাসে নবীন দুই হাজার মুখ সবারই অচেনা কিন্তু পরিচয়ের কাজটা তো বড় ভাইদের এ্যসাইন্টমেন্ট এর জন্য মাত্র সাত দিন লাগে, সেই থেকে পথচলা শুরু। ক্লাস, পরিক্ষার ফাকে দল বেঁধে ক্যাম্পাসে ঘোরাঘুরি করা, হাঁটতে হাঁটতে গলা খুলে গান গাওয়া, বন্ধুরা সবাই এক জায়গায় বসে চা খাওয়া, টাকা তুলে বিল দেয়া, চাঁদা তুলে বন্ধুদের জন্মদিনের পার্টিগুলো পালন করার মধ্যে দিয়েই পেরিয়ে গেল চারটি বছর।আর যে দিনটিতে সবার একসাথে আগমন সেদিনটিতো অব্যশই গুরুত্বপূর্ন তাইতো দিনটিকে স্মৃতির পাতায় ধরে রাখতে ৪২ তম ব্যাচের নানা আয়োজন। স্মৃতির পাতায় লিখে রাখার জন্য এক জন অন্য জনের টি শার্ট এ নিজের অব্যক্ত কথা গুলো লিখে, এই সুযোগে নিজের বন্ধুদের টি শার্ট এ নানা ধরনের জ্ঞানগর্ভ,ভালবাসা সহ নানা ধরনের কথাবার্তা লিখে ফেলে। বিভিন্ন বিভাগের ন্যায়, দুপুর ১১ টায় লোক প্রশাসন বিভাগের ৪২ তম আবর্তনের শিক্ষার্থীরা দিনটি স্মরনে কেক কাটেন। বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ছায়েদুর রহমান, প্রভাষক মাহফুজুর রহমান, আহসান আবদুল্লাহ, আবু সায়েদ মো তৌহিদুল আনাম পুলক স্যার সহ প্রায় ৪০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।কেক কাটার পর কেক আরেকজনের মুখে না মাখালে মনে হয় আনন্দের পূর্নতা পায় না। তাই সালমা, চিনি, ,ঝর্না, সৌমিক ,আকাশ সহ আরো অনেকে। কেক কাটার পর সবাই মেতে উঠে রং উৎসবে, এতে রং মাখানোতে কেউ বাদ যায় নি আর দৃশ্যে গুলো স্মৃতির এলবামে ধরে রাখতে ক্যামেরা হাতে সব সময় প্রস্তুত তমাল। রং মাখামাখির পর শুরু হল আনন্দ শোভাযাত্রা , আর শোভাযাত্রায় বাদ্যে যন্ত্রের তালে তালে রুমি,চিনি,মাসুমা জেসমিন, ফরিদ তাদের নাচের সুপ্ত প্রতিভা সবার কাছে জানান দিলেন। সারাদিন আনন্দের পর সবাই মিলে বিকেলের মিষ্টি রোদে মিলিত হলাম মুক্তমঞ্চে, সবাই সবার মত করে সময় গুলোকে বন্ধি করলো ক্যামেরার ফ্রেমে। দিনশেষে রাতের বারবিকিউ আেেয়াজনের উদ্দেশ্যে, তুসিব, জ্যোতি আর প্রাপ্তি মিলে কাজে নেমে পড়লো আর বাকিরা সাহায্য করলো। এদিকে আকাশের মনোরম কবিতা পাঠ আর সায়মনের উপস্থাপনায় আর বাকিদের মন মুগ্ধকর পারফরম্যন্স এ রাত ১১ টা বেজে গেল। আর যারা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন কারনে অংশগ্রহন করতে পারে নি তারা নিজেদের ফেইসবুকের টাইমলাইনে ব্যাক্ত করেছেন তাদের আবেগ অনুভূতির কথা। স্মৃতিতে অম্লান হয়ে থাক ৪২তম ব্যাচের সকল শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিনটি। আনন্দে কাটুক জীবনের বাকি সময়টুকু।
ষ সাইফুল ইসলাম সজিব
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।