রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : ফরিদপুর জেলা সালথা উপজেলার জয়ঝাপ গ্রামের খন্দকার কামাল উদ্দিনের ছেলে খন্দকার মিরাজুল ইসলাম সোহাগ তার স্ত্রী আসমা বেগমের করা যৌতুক মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হওয়া সত্ত্বেও সালথা থানা পুলিশ সোহাগকে গ্রেফতার করছে না বলে অভিযোগ করেন সোহাগের স্ত্রী ও মামলার বাদী আসমা বেগম। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে নগরকান্দা উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের গজগাহা গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের মোল্লার মেয়ে আসমা বেগমের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী সোহাগসহ পরিবারের অন্যান্যরা যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন চালায়। আসমা স্বামী ও সংসারের কথা চিন্তা করে একাধিকবার ভাইদের কাছ থেকে যৌতুক হিসেবে কিছু টাকা দিলেও সোহাগদের চাহিদা মেটেনি। তারপরও আসমার ওপর নির্যাতন চলতে থাকে। আসমা বাধ্য হয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসে। তাদের সংসারে ৩ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। আসমা নিরুপায় হয়ে ১৯৮০ সালের যৌতুক নিরোধ আইনের ৪ ধারায় জেলা ফরিদপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩নং আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় সোহাগসহ তার পরিবারের ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে। অদৃশ্য ক্ষমতার বলে সোহাগ গংদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ বলে জানায় আসমার পরিবার। আসমা জানায়, সোহাগ নেশাগ্রস্ত ও মাদক ব্যবসায়ী। প্রতিনিয়তই মামলা প্রত্যাহার করার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে। মামলার করার পর থেকে আসমা ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। যে কোনো সময় সোহাগ তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের সন্ত্রাসী হামলা চালাতে পারে। এদিকে আসমার পরিবারের পক্ষ থেকে তার ভাই রুহুল আমীন জানান, পুলিশ উৎকোচ নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে সোহাগকে গ্রেফতার করছে না। সোহাগ সালথা থানার সামনে দিয়েই চলাচল করে বলে আমরা জানতে পেরেছি। অভিযুক্ত সোহাগের সাথে এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে সে সাংবাদিকদের সাথে অশ্লীল ভাষায় কথা বলে। সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিএম বেলায়েত হোসেন জানান, সোহাগ ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি কি না আমার কাগজপত্র দেখে বলতে হবে। এর আগে কিছুই বলতে পারবো না। তাকে মামলার নম্বর ও তারিখ বলা হলেও তিনি সহযোগিতা করেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।