রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
চাঁদপুর জেলা সংবাদদাতা : এক সময়ের অভিশপ্ত চরাঞ্চল এখন ফরিদগঞ্জের মাছ চাষিদের আশীর্বাদ। চরাঞ্চলে চাষিরা মাছ চাষে শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করে লাভবান হচ্ছে। চলতি রবি মৌসুমে মাছ চাষের প্লাবন ভূমিতে সাথী ফসল হিসেবে সরিষার আবাদ করে সফলতা পেয়েছে ফরিদগঞ্জ পৌরসভার চর বসন্ত চরের মাছ চাষিরা। প্লাবন ভূমি থেকে মাছ আহরণের পর, যে সময় জমি খালি পড়ে থাকে, সেই সময় চাষিরা জমিতে সরিষা আবাদ করেছে। সরিষা আবাদে সামান্য টাকা ব্যয় হলেও উৎপাদিত সরিষা বিক্রি করে কয়েক লাখ টাকা আয় করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে তারা। সরেজমিনে জানা যায়, ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ডাকাতিয়া নদী সংলগ্ন চর বসন্তের চরের ৬৫ একর জমি ইজারা নিয়ে অংশীদারের ভিত্তিতে মাছ চাষ করছে স্থানীয় জসিম উদ্দিন, শাহাজাহান বেপারী, মমিন হোসেন, মো. সোহাগ হোসেনসহ ৮/১০ জন চাষি। কার্তিক মাসে মাছ ধরার পর বীনা চাষে প্লাবন ভূমির এক অংশে টরী-৭ জাতের সরিষা বীজ বুনেন তারা। এর কিছু দিন পর পানি শুকিয়ে গেলে জমির বাকি শুকনো অংশে সরিষার বীজ বপন হয়। শুরুতে যে অংশে বীজ বোনা হয়েছিল ওই অংশের সরিষার ফলন আগামী ১০ দিনের মধ্যে তোলা যাবে এবং পরবর্তীতে যে সরিষা বোনা করা হয়েছিল সেগুলো এখন হলুদ ফুলে ছেয়ে আছে। ফরিদগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. নূরে আলম বলেন, ‘ওই চরে সাড়ে ১৬ হেক্টর জমিতে টরী-৭ জাতের সরিষা আবাদ করা হয়েছে। ফরিদগঞ্জে এবারই প্রথম কোনো প্লাবন ভূমিতে ব্যাপক হারে এই সরিষার আবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে হেক্টর প্রতি ১.২ মে. টন পর্যন্ত সরিষা উৎপাদন হতে পারে। এছাড়া মাত্র ৭০-৭২ দিনের মধ্যে এই জাতের সরিষার ফলন ঘরে তোলা সম্ভব হয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘যে সকল প্লাাবন ভূমি একটু উঁচু এবং আগে মাছ ধরা হয় ওই জমি খালি থাকার সময়ে এই সরিষা আবাদ করতে পারে মাছ চাষিরা। মাছ চাষের মাটি অধিক উর্বর হওয়ায় সরিষা আবাদে ভালো ফলনের সম্ভাবনা বেশি।’ উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ‘ফরিদগঞ্জে প্লাবন ভূমির পরিমাণ ৫শ’ ৮৩.১৩ হেক্টর। এসবের অনেকাংশ কার্তিক মাসের আগেই মাছ ধরে বিক্রি করে দেয় চাষিরা।
বিশেষজ্ঞদের অভিমত যদি প্লাবন ভূমিতে সরিষা আবাদ করা হয় তাহলে মাছ চাষিদের ব্যাপকহারে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চর বসন্তের চরে মাছ চাষিদের সরিষা আবাদ একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।