Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪, ২৫ আষাঢ় ১৪৩১, ০২ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

পীরগঞ্জে এক সপ্তাহেও শুরু হয়নি কর্মসংস্থান কর্মসূচির কাজ

অলস বসে আছে শ্রমিকরা

| প্রকাশের সময় : ৩০ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

পীরগঞ্জ (রংপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও পীরগঞ্জের ১৫টি ইউনিয়নে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির ১ম পর্যায়ের কাজ শুরু হয়নি। ফলে হাতে কাজ না থাকায় প্রকল্পটির তালিকাভুক্ত কর্মঠ শ্রমিকরা বেকার বসে আছে। এদিকে গ্রামীণ রাস্তাগুলোও ভাঙ্গাচোরা রাস্তাগুলো মেরাত না করারয় চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অপরদিকে পুরাতন শ্রমিকদের নাম তালিকা থেকে কর্তন করে নতুন নাম অন্তর্ভুক্ত করতে টাকা নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লি­­ষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের জন্য গত ১ জানুয়ারি ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের ঢাকার প্রধান কার্যালয়ের এক স্মারকে অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচির ১ম পর্যায়ের কাজ শুরুর জন্য পীরগঞ্জের ইউএনও’র কাছে দপ্তর নির্দেশ আসে। এরপর গত ১৫ জানুয়ারি ইউএনও তার দপ্তরের স্মারকে পীরগঞ্জের ১৫টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে ২১ জানুয়ারি থেকে ওই কর্মসূচির কাজ শুরুর নির্দেশ দিলেও এক সপ্তাহ (গতকাল শুক্রবার) পেরিয়ে গেলেও কোন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাজ শুরু করেনি। ফলে এই সময়ে মাঠে তেমন কাজ না থাকায় প্রকল্পটির ইতিপূর্বের তালিকাভুক্ত শ্রমিকরা বেকার হয়ে বসে আছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন- আগামী ২/১ দিনের মধ্যে আমরা শ্রমিকদের নামের তালিকা পাবো। বিলম্বে কাজ শুরুর ব্যাপারে তিনি কিছুই বলেননি। সূত্রটি আরও জানায়, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে করা ইতিপূর্বের তালিকাভুক্ত শ্রমিক ছিল সর্বমোট ৪ হাজার ১২৪ জন। চলতি অর্থবছরে আরও ৪১৪ জন শ্রমিককের পুনঃ বরাদ্দ আসে। এতে মোট ৪ হাজার ৫৩৮ জন শ্রমিক ওই কর্মসূচির অধীনে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা, বাঁধ নির্মাণসহ মাটির কাজ করবে। প্রায় ৭ মাস আগে ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের কাজ শেষ হওয়ায় অনেক গ্রামীণ রাস্তা বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি চলতি ইরি-বোরো মওসুমের কারণে মাঠে ও হাতে কোন কাজ না থাকায় অনেক শ্রমিক অলস বসে সময় কাটাচ্ছে। জানা গেছে,উপজেলার চৈত্রকোল ইউপিতে ২৯৮ জন, ভে-াবাড়ীতে ২৫৩ জন, বড়দরগায় ২৮৫ জন, কুমেদপুরে ২৫৯, মদনখালীতে ২৮৪ জন, টুকুরিয়ায় ২৬৬ জন, বড়আলমপুরে ৩১৭ জন, রায়পুরে ২৬০ জন, পীরগঞ্জে ৩৩৬ জন, শানেরহাটে ২৮৭ জন, পাঁচগাছীতে ২৭১ জন, মিঠিপুরে ৩২৪ জন, রামনাথপুরে ৩৯৬ জন, চতরায় ৩৫২ জন এবং কাবিলপুর ইউনিয়নে ৩৫০ জন শ্রমিক চলতি অর্থবছরে কর্মসংস্থান কর্মসূচির কাজ করবে। তারা প্রতিদিন ৭ ঘণ্টা কাজের বিনিময়ে ঘণ্টায় ২শ’ টাকা হারে মুজরী পাবেন। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, তালিকাভুক্ত অনেক শ্রমিকের নাম ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বাররা অহেতুক কর্তন করে নতুন নাম অন্তর্ভুক্ত করতে দরিদ্রদের কাছ থেকে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা হারে উৎকোচ নিচ্ছে বলে জানা গেছে। অথচ বিধিতে রয়েছে, যদি কোন শ্রমিক মারা যায়, অন্যত্র চলে যায় অথবা কাজ করতে অক্ষম হয়, সেক্ষেত্রে তার পরিবারের সদস্য যেমন স্ত্রী, স্বামী, পুত্র, কন্যা, পিতা এবং মাতাকে তালিকাভুক্ত করা যাবে। ইতিমধ্যেই অনেক ইউনিয়নে মৌখিকভাবে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগীরা জানায়, চেয়ারম্যানের কথামতো না চলায় অন্যায়ভাবে অনেকের নাম কর্তন করা হচ্ছে। আবার নতুন শ্রমিকদের নাম তালিকাভুক্ত করতেও ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে কথা হলে ইউএনও কমল কুমার ঘোষ বলেন- এ ধরনের কোন  অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ