বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গাইবান্ধা জেলা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা : এমপি লিটনকে হত্যা করে খুনিরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও বাঙালি জাতির মূল্যবোধের উপর আঘাত করেছে। লিটনের রক্তের দাগ এখনও মুছে যায়নি। একজন এমপির রক্তাক্ত বিদায় আমাদের আঘাত করেছে, আমাদের অনুভূতি ও চেতনাকে আঘাত করেছে। একজন উন্নয়নবান্ধব আদর্শ জনপ্রতিনিধি মঞ্জরুল ইসলাম লিটনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। যারা লিটনকে হত্যা করেছে তাদেরকে চরম মূল্য দিতে হবে। হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে। কেউ বিভ্রান্ত, ধোঁয়াশা সৃষ্টি করে লিটন হত্যা ঘটনাকে আড়াল করার চেষ্টা করলে তা সফল হবে না। গতকাল (শনিবার) সুন্দরগঞ্জ ডি ডব্লিউ ডিগ্রি কলেজ মাঠে লিটন হত্যার প্রতিবাদে নাগরিক শোক সভায় একথাগুলো বলেন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা আহমেদের সভাপতিত্বে নাগরিক শোক সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি, জননেতা জাহাঙ্গীর কবীর নানক এমপি, কেন্দ্রীয় নেতা বিএম মোজাম্মেল হক এমপি, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাড: ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি, জাতীয় সংসদের হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি এমপি, রংপুর সিটি মেয়র শরফউদ্দিন আহমেদ ঝন্টু, সাবেক ছাত্রনেতা মির্জা আযম এমপি, খালেদ মাহমুদ এমপি, কেন্দ্রীয় নেতা সুজিত রায় বক্সী, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, এমপি পতœী সৈয়দা খুরশিদ জাহান হক স্মৃতি, জেলা আ’লীগের সভাপতি এ্যাড: শাম্স উল আলম হিরু, সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আ’লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে আরও বলেন, এমপি লিটনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে একাত্তরের পরাজিত শক্তি জামায়াত-শিবির জানিয়ে দিয়েছে তারা এখনও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তারা এমপি লিটনকে হত্যা করে এদেশের স্বাধীনতা মুক্তিকামী মানুষের মূল্যবোধের উপর চরম আঘাত করেছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর উপর আঘাত করেছে। এদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস রচনায় এই উত্তরাঞ্চলের মানুষ কখনও ভয় ও মাথানত করেনি। তাই এমপি লিটনের মৃত্যুর শোককে শক্তিতে পরিণত করে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। খুনিরা যেই হোক, যত প্রভাবশালী হোক, বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরতœ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই তাদের বিচার করা হবে। এমপি লিটন হত্যার রক্তের দাগ এখনও শুকায়নি। আপনারা লাশ নিয়ে রাজনীতি করবেন না। মনোনয়ন নিয়ে কাড়াকাড়ি করবেন না। মনোনয়ন নিয়ে কাড়াকাড়ি করে প্রকৃত হত্যাকারীদের আড়াল করবেন না। ঘরের শত্রু বিভীষণ। তাই দলীয় কোন্দল বাড়াবেন না। এই এলাকার নেতৃত্ব ধরে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকে যোগ্য মনে করে মনোনয়ন দিবেন তিনিই হবেন এমপি লিটনের উত্তরসূরী। ডিপুটি স্পিকার এ্যাড: ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি বলেন, এমপি লিটনের খুনিদের সাথে এই এলাকার প্রশাসনের সখ্যতা থাকতে পারে সেদিকটাও খতিয়ে দেখতে হবে।
এমপি পতœী স্মৃতি কান্না জড়িত কণ্ঠে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, যে মানুষটি সদাসর্বদা পরিবারের কথা না ভেবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা ভাবতেন, তার আদর্শকে বাস্তবায়ন করার জন্য ভাবতেন, এলাকার মানুষের সার্বিক উন্নয়নের কথা সর্বদাই ভাবতেন তাকে কি করে মানুষ খুন করল তা ভাবতে অবাক লাগে। আমি আমার স্বামীর হত্যাকারীদের দেখতে চাই। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। শোক সভা শেষে প্রধান অতিথির নেতৃত্বে আ’লীগের কেন্দ্রী নেতৃবৃন্দ এমপি লিটনের বাসভবনে যান ও তার আত্মার মাফফেরাত কামনা করে দোয়া করেন।
উল্লেখ্য, গত ৩১ ডিসেম্বর গাইবান্ধা ১-সুন্দরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে তার নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।