Inqilab Logo

বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

মৃত্যু তারিখ জালিয়াতি ও স্ত্রী সাজানোর অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আমতলী (বরগুনা) উপজেলা সংবাদদাতা : আমতলীতে চানমিয়া-ফিরোজার মৃত্যুর তারিখ নিয়ে জালজালিয়াতি করে জমা-জমি গ্রাস করার ষড়যন্ত্র করছে প্রতিপক্ষ। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে আমতলী উপজেলার পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের মৃত এক্রাম আলীর পুত্র প্রতিবন্ধী (মাথা মোটা-পেটবড়) চানমিয়া (৮/৯) এবং ঐ একই গ্রামের কাছেম আলীর কন্যা ফিরোজা (৬/৭) মৃত্যুবরণ করে। ফিরোজার বড়ভাই মোতালেব শিকদার উপস্থাপন করেন ঘূর্ণিঝড়ের ২ দিন আগে মার সাথে ফিরোজা গলাচিপার বাউরিয়া গ্রামে খালার বাড়িতে বেড়াতে গেলে ঘূর্ণিঝড়ের রাতে খালা, খালাত ভাই, খালাত বোন অন্যান্যের সাথে সেও মারা যায়। পরের দিন অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তাদের লাশ পাওয়া যায়নি। অপর দিকে ঘূর্ণিঝড়ের রাতে আমতলীর সোনাখালী গ্রামের ১২-১৩ জন মারা গেলেও প্রতিবন্ধী চানমিয়া একটি তালগাছের মাথায় আটকে থাকলে পরদিন সকালে এলাকাবাসী খোঁজাখুঁজির পর তাকে গাছ থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় নিচে নামান এবং এলাকাবাসীর সামনে সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কিন্তু এলাকার কতিপয় ভূমি দস্যু জালিয়াত চক্র চানমিয়ার সহায়-সম্পত্তি গ্রাস করার লোভে পরে ফিরোজাকে চানমিয়ার স্ত্রী সাজিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে মৃত ফিরোজার ওয়ারিশ পিতা কাছেম আলী ও মাতা আছিয়া বিবির নিকট থেকে বিগত ১৩-০৯-১৯৭৮ তারিখ ৮ বছর পর আমতলী এসআর রেজিস্ট্রিকৃত ৬১৪৩নং একখ- সাব কবলা দলিল মূলে ৪০ শতাংশ জমির মালিকানা স্বত্ব হস্তগত করেন। উক্ত জমির দখল নিয়ে চানমিয়ার ওয়ারিশদের সাথে কবলা গ্রহীতা ভূমি দস্যু আঃ রশিদ দর্জি পিতা. তোজম্বর দর্জির ওয়ারিশদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। আঃ রশিদ দর্জির ওয়ারিশ পুত্র মজিবর দর্জি এক্রাম আলীর ভূয়া ওয়ারিশ সার্টিফিকেট তৈরি করে ১৯৯০-৯১ সালে ৫১ আম/নং নামজারি মোকদ্দমার মাধ্যমে ফিরোজাকে প্রতিবন্ধী চানমিয়ার স্ত্রী এবং স্ত্রীর বাবা কাছেম আলীকে চাচাতো চাচা সাজিয়ে ২৩নং সোনাখালী মৌজার ১৮৬নং খতিয়ানে রেকর্ড হাসিল করেন। অতঃপর উক্ত ফিরোজা ও কাছেম আলীর সম্যক অংশ নিয়ে ২০০৯-১০ সালে ৪৬ আম নং জমা খারিজ মোকদ্দমার আদেশ বলে ৪০ শতাংশ জমি নিয়ে সোনাখালী মৌজায় ৭২৬নং ১টি নতুন খতিয়ান সৃজন করে। ভূমি দস্যু মজিবর দর্জিরা উক্ত জালজালিয়াতি রেকর্ড পর্চা দিয়েও ফিরোজাকে চানমিয়ার স্ত্রীরূপে ওয়ারিশ প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে চানমিয়া ও ফিরোজার মৃত সনদ সৃষ্টি করেন। এতে চানমিয়াকে ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর এবং ফিরোজাকে ১৯৭০ সনের ১৬ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেছে বলে ১০-১০-২০১৬ তারিখের সনদে বর্ণিত দেখিয়েছে। এর ফলে চানমিয়ার মৃত্যুতে ফিরোজা স্ত্রীরূপে চানমিয়ার ওয়ারিশ নির্ধারিত হয়। অপর দিকে ০১-০২-২০০৯ সালে চানমিয়ার ওয়ারিশরা চানমিয়া ও ফিরোজার মৃত্যুর তারিখের সন্ধান জানতে চাইলে বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মহফেজ খানা থেকে মৃত রেজিস্টার তল্লাশি করে প্রার্থীর সন্ধান দিতে পারেনি। বরগুনা জেলা প্রশাসকের মহফেজখানা থেকে ২০০৯ সালে চানমিয়া ও ফিরোজার মৃতর তারিখ দিতে পারেনি। অথচ ২০১৬ সালে কি করে নতুন মৃত রেজিস্টারে উল্লেখ করে তাদের মৃতর তারিখ নির্ধারণ করে সনদ প্রদান করলো তাই নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয় এ নিয়ে উভয় পক্ষে রক্তারক্তির ঘটনাও ঘটা অসম্ভব নয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ