নাজিরপুর (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : নাজিরপুরে গৃহবধূর শ্লীলতাহানী করতে ব্যর্থ হয়ে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার শাখারীকাঠী ইউনিয়নের ভাইজোড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত গৃহবধূ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হলে তাকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান চিকিৎসা নিতে না দিয়েই  হাসপাতাল থেকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন বলে আহত গৃহবধূর মামা শাহাজাহান মৃধা অভিযোগ করেন। তবে ইউপি চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান গাউস এমন অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। গৃহবধূ লিপি আক্তার (১৮) ওই গ্রামের লাল মিয়া শেখের কন্যা। আহত গৃহবধূ জানায়, তিনি ওই সময় তার বাবার বাড়ীতে রান্না ঘরের পাশে বসে থালা-বাসন পরিস্কার করছিলো। এসময় পার্শ্ববর্তী উকিল উদ্দিনের পুত্র আরিফুল ইসলাম (২৫) তার শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করলে তিনি  নিজেকে রক্ষা করতে দৌঁড়ে পার্শ্ববর্তী সাবেক ইউপি সদস্য ছাহেরা খাতুনের বাড়ীর কাছে গেলেও আরিফুল তাকে ধরে বেধম মারধর করে। প্রত্যক্ষদর্শী ও ওই ইউপি’র ২ নং ওয়ার্ডের সাবেক মাহিলা সদস্য ছাহেরা খাতুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, হামলাকারীর হাত থেকে আহত লিপিকে উদ্ধার করতে গিয়ে তিনি নিজেও আহত হন। এ ব্যাপারে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান জানান, এ বিষয়ে তিনি কোন অভিযোগ পাননি, অভিযোগ পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
অভিমানে গৃহবধূর আত্মহত্যা
নাজিরপুরে বাবা-মা’র বকুনিতে অভিমান করে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা করেছে। জানা গেছে, উপজেলার দীর্ঘা ইউনিয়নের লেবুঝিলবুনিয়া গ্রামের রেজাউল করিম সুতারের স্ত্রী এক সন্তানের জননী আসমা আক্তার (২১) বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে আত্মহত্যা করেছে। আসমা আক্তারের পিতা একই গ্রামের আতিকুর রহমান গতকাল শুক্রবার দুপুরে জানান, গত ৭/৮দিন ধরে আসমার সাত মাস বয়সের পুত্র মাহিম হোসেন কান্না করতো। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার রাতেও কান্না করায় বাবা-মা নাতিকে ঠান্ডা করতে খাবার খাওয়াতে বলেন। কিন্তু এ সময় আসমা ঘুমাচ্ছিলো। এ নিয়ে বাবা-মা তাকে গালমন্দ  করলে রাতেই বাড়ির পিছের আম গাছে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে আসমা।