Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফুটপাতসহ রাস্তা দখল করে অবৈধ হাট-বাজার ও বাস-টেম্পু স্ট্যান্ড

যশোর-নড়াইল-লোহাগড়া জাতীয় মহাসড়ক

| প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

লোহাগড়া (নড়াইল) উপজেলা সংবাদদাতা : লোহাগড়া উপজেলা সদরের লক্ষিপাশা চৌরাস্তায়  মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী ফুটপাতসহ খালি জায়গায় স্থায়ীভাবে দোকান, ভাঙাচোরা গাড়ি ও জ্বালানি কাঠ ফেলে দখল করে রাখায় যানবাহনগুলো রাস্তার উপরই পার্কিং করতে বাধ্য হয়। তাছাড়া বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়া বাস, টেম্পু, ইজিবাইক, রিকশা-ভ্যান ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলগুলো রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানো-নামানোর কাজ করে থাকে। ফলে এখানে প্রায়ই ঘটে ছোট-খাটো দুর্ঘটনা। স্থানীয়দের আশঙ্কা যে কোন সময় এখানে ঘটতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের চোখের সামনে এই বিশৃঙ্খল অবস্থা হতে থাকলেও নজর নেই কারো। লোহাগড়া উপজেলার কালনাঘাট থেকে নড়াইল হয়ে যশোর পর্যন্ত জাতীয় মহাসড়কটি উপজেলা সদরের লক্ষিপাশায় ‘লোহাগড়া-বড়দিয়া’ রাস্তাকে ক্রস করায় এই চৌরাস্তাটি সঙ্গত কারণেই অতি ব্যস্ত ও জনবহুল এলাকা। এখান থেকে  বাস, টেম্পু, ইজিবাইক, ইঞ্জিন চালিত ভ্যান-রিকশা ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলগুলো বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যায়। কিন্তু এসব যানবাহনের জন্য নির্ধারিত কোন স্ট্যান্ড এমনকি পার্কিং করার মত ন্যূনতম জায়গাটুকুও ফাঁকা নেই। মহাসড়কের পার্শ্বের জায়গা অবৈধ দখলকারীদের দখলে চলে গেছে। অবৈধ দখলকারীরা সড়কের পার্শ্বের জায়গায় স্থায়ীভাবে দোকানঘর বানিয়ে দখল করে রেখেছে। কেউ আবার স্থায়ীভাবে একাধিক ভাঙাচোরা গাড়ী রেখে অথবা স্থায়ীভাবে জ্বালানি কাঠ রেখে পার্কিং এলাকা দখল করে রেখেছে। এদিকে এই চৌরাস্তার উপরই প্রতিদিন সকালÑবিকাল নিয়মিত বাজার বসে। রাস্তার পাকা অংশের গা ঘেঁষেই বসে মাছ ও তরিতরকারি বিক্রেতারা। প্রভাবশালী কয়েকজন দোকানদার ইচ্ছাকৃতভাবে রাস্তার পার্শ্ববর্তী সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা দখল করে তাদের নিজস্ব  মালামাল ফেলে রেখে যানবাহন পার্কিং-এর জায়গা বন্ধ করে রেখেছে। অথচ লক্ষিপাশা হাট-বাজার নামে ফুটপাতের এই বাজারটিকে স্থানীয় পৌরসভা থেকে ইজারা দেয়া হলেও এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে তাদের কোন তদারকি নেই। কয়েক বছর পূর্বে বাজারের ব্যবসায়ীদের নিয়ে গঠিত বণিক সমিতি নামে একটি সংগঠন করা হলেও বর্তমানে তার কোন কার্যকারিতা নেই। এ ব্যাপারে লোহাগড়া পৌরসভার সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সমস্যাটি দীর্ঘদিনের, তাই রাতারাতি সমাধান করা সম্ভব নয়। তবে আমরা এর স্থায়ী সমাধানের জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেব।’ মহাসড়কের পার্শ্বের খালি জায়গাটুকু দাঁড়িয়ে থাকা যানবাহনগুলোর দখলে থাকায় খুলনা-যশোর থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলো রাস্তার উপরই পার্কিং করতে বাধ্য হয়। একইভাবে লক্ষিপাশা-নড়াইল রুটে যাতায়াতকারী থ্রি হুইলার অটো টেম্পুগুলোর স্ট্যান্ড হিসেবে রাস্তার পার্শ্বের পুরো জায়গাটি দখল করে রাখায় তারাও রাস্তার উপর দাঁড়িয়েই যাত্রী নামানোর কাজ করে থাকে। ফলে ব্যস্ততম এই মহাসড়কটির এই স্থানে প্রায় সময়ই যানজট লেগে থাকে। তবে বর্তমানে ফুটপাত বা সড়ক দখল, পার্কিং ও যানজট পরিস্থিতির যে অবনতি হয়েছে তাতে যে কোন সময়ে ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। উল্লেখ্য, এই চৌরাস্তাটি স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় থানা থেকে মাত্র ৫০ গজের মধ্যে অবস্থিত হলেও নজর নেই কারো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ