Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শ্রেণিকক্ষ সংকটে পাঠদান ব্যাহত

পাঠানপাড়া মদিনাতুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসা

| প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ডোমার (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা : নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার মিরগঞ্জ ইউনিয়নের ১৯৮৪ সালে ৬৫ শতাংশ জমির উপর নিজস্ব অর্থয়ানে পাঠানপাড়া মদিনাতুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসা স্থাপিত হয়। ইসলামী দ্বীনি শিক্ষায় উক্ত প্রতিষ্ঠানটি প্রতিবছর শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করে আসছে। বর্তমানে উক্ত প্রতিষ্ঠানে চার শত শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছে। উক্ত দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে। এবতেদায়ী শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি বিস্কুট ও নানা সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পাঠানপাড়া মদিনাতুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসায় শ্রেণিকক্ষে আসবাবপত্রের অভাবে এক বেঞ্চে পাঁচ জন করে শিক্ষার্থী গাদাগাদি করে বসে ক্লাস করতে হয়। এ যাবৎ উক্ত দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারের অনুদানের কোন ছোয়া লাগেনি। প্রতিষ্ঠানে ক্লাস রুমে টিনের চাল ফুটো ভাঙা এবং জরাজীর্ণ। গরমের সময় শিক্ষার্থীরা ক্লাসে থাকতে পারে না এবং বর্ষাকালে বৃষ্টি হলে বইপত্র জামাকাপড় ভিজে যায়। আলিম প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুন নাহার জানান কমন রুম এবং নামাজ ঘর না থাকায় আমাদের অনেক সমস্যা হয়। আলিম প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রোকসানা আক্তার জানান মেঝে পাকা না থাকায় ধূলোবালিতে কাপড় ময়লা হয় ও লাইব্রেরি বিজ্ঞানাগার না থকায় আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি না। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মার্জিয়া খানম জানায় শ্রেণিকক্ষে জানলা, দরজা ভাঙা ও ছাদ ফ্যান না থাকায় আমাদের অনেক সমস্যা হয় ও সীমানা প্রাচীর না থাকায় আমরা খোলামেলাভাবে চলাচল করতে পারি না। উক্ত প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রিন্সিপাল বজলুর রহমান খান জানান উক্ত প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ভবনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বার বার অবহিত করার পরেও কোনো ফল হয়নি। উক্ত প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ভবনের জন্য সরকারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করি। উক্ত সমস্যা সমাধান হলে ইসলামী দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি আগামীতে শিক্ষার্থীরা আরও ভালো ফলাফল অর্জন করবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ