বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : ১০ জেলার মহাসড়কে নছিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পুলিশের হাইওয়ে রেঞ্জের ডিআইজি ও সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপারদের এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল (বুধবার) তিন বছর আগে জারি করা এক রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ এ রায় দেয়। জেলাগুলো- বাগেরহাট, নড়াইল, সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, খুলনা ও যশোর। আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নে কতটুকু অগ্রগতি হল তা জানিয়ে ছয় মাস পর পর হলফনামা আকারে আদালতে প্রতিবেদন দিতে হবে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ওই ধরনের যান চলাচল করলে সংশ্লিষ্ট মালিক ও চালকের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে বলেছে আদালত।
মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের এক রিট আবেদনে ২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে রুল দিয়েছিল হাইকোর্ট। সে সময় ওই ১০ জেলার মহাসড়কে নসিমন, করিমন, ভটভটি চলাচল বন্ধের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেয়া হয়েছিল। হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়। মহাসড়কে কম গতির ছোট যানবাহনগুলোকে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করে সেগুলোর চলাচল বন্ধের জন্য দীর্ঘদিন দাবি জানিয়ে আসছে বাস মালিক-চালকরা। এরপর আদালতের নির্দেশনা এলেও অটোরিকশা ও নছিমন চালকদের আন্দোলনের মুখে তা আর বাস্তবায়ন হয়নি। ২০১৫ সালে এক ঈদের ছুটির মধ্যে কয়েকটি দুর্ঘটনার পর মহাসড়কে অটোরিকশা, টেম্পুসহ তিন চাকার যান চলাচল নিষিদ্ধ করে সরকার। কিন্তু এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে অটো চালকরা বিক্ষোভ-অবরোধ শুরু করলে কয়েক দিনের মাথায় সরকারের কড়াকড়ি আবার শিথিল হয়ে আসে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।