Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খলিল মেম্বার গ্রেফতার হলে উদ্ঘাটন হতে পারে নুর হোসেনের আরেক তথ্য

| প্রকাশের সময় : ২৬ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : মদনপুরের বিভিন্ন অপরাধ কর্মকা- ও মাদকের মূলহোতা বিতর্কিত ইউপি মেম্বার খলিল ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারের দাবি উঠেছে। সাত খুন মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত কুখ্যাত নুর হোসেনের ঘনিষ্ট সহযোগী ও কথিত অস্ত্রভা-ারের রক্ষক খলিল ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ অনেক চাঞ্চল্যকর অপরাধের খবর বেরিয়ে আসবে বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছেন।
বিশেষ করে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত নুর হোসেনের সহযোগীরা কে কোথায় আছে? তাদের অবৈধ অস্ত্র কোথায়? মদনপুর তথা উত্তরাঞ্চলের বিশাল মাদক সিন্ডিকেটে কারা জড়িত? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে খলিল মেম্বার ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার জরুরী বলে মনে করছে এলাকাবাসী।
এদিকে খলিল মেম্বার তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকলেও নিজেকে ধোয়া তুলসী পাতা জাহির করছে।
বন্দর থানা সূত্রে জানা গেছে, চাঁদাবাজির কারণে খলিল মেম্বার ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে বন্দর থানায় মামলা নং-১০(১২) ১২, ধারা ১৪৩, ৩৮৫, ৩২৩, ৪২৭, ৫০৬ দঃবিঃ রুজু হয়। এছাড়া মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা নেয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে বন্দর থানায় মামলা নং-১৬(০৬) ১৩ ধারা-৪২০/৪০৬ দঃবিঃ রয়েছে। মামলা দুটিতে তার নামে চার্জশিটও দাখিল হয়েছে।
ডিবি সূত্রে জানা গেছে, খলিলের শ্যালক মারুফ একজন ইয়াবা সম্রাট। তাকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছিলো ডিবি। খলিলের ভায়রা কামালের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে। সম্প্রতি সে জেল খেটে জামিনে বেরিয়ে এসেছে।
স্থানীয়রা জানায়, বরিশালের বাসিন্দা খলিল একযুগ পূর্বে মদনপুরে এসে হোটেল বয়ের কাজ নেয়। এরপর তার পরিচয় ঘটে এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী সুরত আলীর (২০০৬ সালে প্রতিপক্ষের হাতে খুন) সঙ্গে। সুরত আলী বাহিনীর টিবয় খলিল চতুরতার সাথে সকল অপকর্মে জড়িত থাকলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি। সুরত আলী নিহত হওয়ার পর তার সেকেন্ড ইন কমান্ড কাবিলা ও মকবুলকে (ক্রসফায়ারে নিহত) দিয়ে পুনরায় সন্ত্রাসী বাহিনীকে সংঘঠিত করে মদনপুরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। বিগত দুটি ইউপি নির্বাচনে সাত খুনের প্রধান আসামী নূর হোসেনের সন্ত্রাসী বাহিনীর সহযোগিতায় সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিপুল অংকের কালো টাকা খরচ করে মেম্বার নির্বাচিত হয় খলিলুর রহমান। এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। নুর হোসেনের লোক পরিচয়ে মদনপুর চৌরাস্তায় সরকারী জমিতে অফিস বানিয়ে নিজস্ব বাহিনী তৈরী করে এলাকায় জমি দখল, মিল-কারখানা ও বিভিন্ন হাউজিং কোম্পানীতে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, বালু ব্যাবসা দখল করে বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক বনে গেছে। মদনপুরের চানপুরে নয়নাভিরাম বহুতল অট্টলিকাসহ মদনপুর ও বরিশালে বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক বলে গেছে খলিল মেম্বার। অবৈধ টাকার জোরে সবাইকে ম্যানেজ করতে পারদর্শী হওয়ায় সকল অপরাধের শিরোমনী হয়েও এ যাবত গ্রেফতার হয়নি খলিল মেম্বার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ