পুনরায় যমুনা ব্যাংকের এমডি হলেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ
যমুনা ব্যাংক লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে আরও ৫ বছরের জন্য পুনরায় নিয়োগ পেয়েছেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে পুনঃনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে।
কর্পোরেট রিপোর্টার : মসলা জাতীয় পণ্যে কম সুদে ঋণ বিতরণে আগ্রহ নেই ব্যাংকগুলোর। আমদানি কমাতে ডাল, পেঁয়াজ, তৈলবীজ, ভুট্টা ও মশলা জাতীয় পণ্য উৎপাদনে কৃষকদের ব্যাংকগুলো ৪ শতাংশ সুদ হারে এ ঋণ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ অনুযায়ী স্বল্প সুদের এই ঋণের বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে ব্যাপক প্রচার চালানোর কথা থাকলেও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সঠিকভাবে কাজটি করছে না। চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর ’১৬) স্বল্প সুদে ব্যাংকগুলো ৩০ কোটি ৭০ লাখ টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। এই অর্থবছরে মসলা জাতীয় পণ্যে রেয়াতি সুদহারে ব্যাংকগুলোর বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে অর্থবছরের ষাণ¥াসিক শেষে লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৩৪ শতাংশ বিতরণ হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কৃষিঋণ ও আর্থিক সেবাভুক্তি বিভাগের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে ৩০ কোটি ৭০ লাখ টাকা বিতরণ করেছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এতে করে চলতি অর্থবছরে আগের অর্থবছরের তুলনায় কম পরিমাণ ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। এ ছাড়া অর্থবছরের ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও এ খাতে এক টাকাও ঋণ দেয়নি ১৯ ব্যাংক। বাংলাদেশে প্রতি বছর মসলা জাতীয় বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে একশ’ কোটি ডলার বা প্রায় আট হাজার কোটি টাকার মতো ব্যয় হয়। বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় কমাতে মসলা জাতীয় পণ্যে রেয়াতি সুদহারে ঋণ দেয়া হয়। এতে কোনো ব্যাংকের সুদ ক্ষতি হলে তা সিএসআর খাতের ব্যয় হিসেবে দেখানোর সুযোগ রয়েছে। তবে কোনো ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হলে অর্থবছর শেষে অনার্জিত অংশ বিনাসুদে এক বছরের জন্য কেটে রাখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপরও অনীহার কারণে এ খাতে আশানুরূপ ঋণ বিতরণ হচ্ছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।